এইচ.এন.আলম ও এস.এম.তারেক….কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে এখনো জোয়ার ভাটা চলছে। কে দেখবে এই চৌফলদন্ডীবাসীর করুন দশা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,একটু বৃষ্টি হলেই পাহাড়ী ঢলে পানি ঈদগাঁও নদী থেকে পাল পাড়া হয়ে চৌফলদন্ডী প্লাবিত হয়ে শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে যায়। অন্যদিকে জোয়ারের পানি আসতে না আসতেই পুরো চৌলফলদন্ডীর ধানক্ষেত জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। ফলে বিনষ্ট হচ্ছে শত শত একর চাষী জমি। অন্যদিকে চৌফলদন্ডীতে জেলা প্রশাসক চেয়ারম্যান থাকা সত্বেও এ করুন দশায় পতিত হচ্ছে এলাকার লোকজনকে। গত বর্ষা মৌসুমে ওয়াফদার বেড়িবাঁধ ৮ পয়েন্টে ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থায়নে ৪টি পয়েন্ট নির্মাণ করলেও বাকী ৪টি পয়েন্ট থেকে জোয়ারের পানি এসে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে চৌফলদন্ডীর। যে ৪ পয়েন্ট এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করছে তাও জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন চৌফলদন্ডীবাসী বলতে গেলে এতিমের মত হয়ে পড়েছে। এক চাষী বলেন, ‘‘মামু আল নইব জাল কিনিগৈই’’ যা চাষাবাদ করছে তাও বঙ্গোপসাগরের পানি আমাদেরকে এতিম বানিয়ে ছাড়ল। এ ব্যাপারে চৌফলদন্ডীর মেম্বার মোহাম্মদ মিয়া জঙ্গী প্রতিবেদককে জানান, আমরা ৮টি পয়েন্টের মধ্যে ৪টি পয়েন্ট নিজের অর্থায়নে মেরামত করছি বাকী ৪টি পয়েন্ট ভাঙ্গা বড় হওয়ার কারণে মেরামত করতে পারিনি। সরকার মহোদয় আমাদের প্রতি সুদৃষ্টি দেখলে চৌফলদন্ডী বাসী এই দুর্দশা হতে মুক্তিপাবে বলে আশা করেন। অন্যদিকে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চৌফলদন্ডীতে শ্বাশুর বাড়ী জামাই আসার মত মাসে কয়েকদিন আসলেও তা প্রাইভেট নোহার কালো গ্লাসে এ অবস্থা দেখলেও না দেখার বান করে চলে যায়। এ নিয়ে এলাকার লোকজন অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জানার পরও তারা বলেন,তোমরা কি বুঝে এলাকায় না থাকে এর ব্যক্তিকে নির্বাচিত করলা। তোমাদের কপাল তোমরা নিজেই খেয়েছে। কারণ পিতা হারা পরিবারের যে অবস্থা তদরূপ চৌফলদন্ডীবাসী চেয়ারম্যান হারা হয়ে সেই অবস্থা। গত ২মাস পূর্বে জেলা প্রশাসক চেয়ারম্যান নিজেই ভাঙ্গন গুলো পরিদর্শণ করে আসলেও ঐ ভাঙ্গনের কোন অবনতি হয়নি। জেলা প্রশাসক চেয়ারম্যান ভাঙ্গন মেরামতের জন্য ৩০হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জনৈক প্রতিনিধি জানান। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবী যে কোন উপায়ে চৌফলদন্ডীকে জোয়ার ভাটা থেকে মুক্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বার বার মোবাইলে চেষ্টা করলেও সংযোগ পায়নি বলে ওনার বক্তব্য ছাপানো যায়নি।
Leave a Reply