এম আরমান জাহান-ঈদগাঁও …দক্ষিণ চট্টলার বাণিজ্যিক বাজার হিসেবে পরিচিত বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজার ও ঈদগাও ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ৭ ইউনিয়ন তথা জালালাবাদ , ইসলামাবাদ , ইসলামপুুর , পোকখালী , চৌফলদন্ডী , খুটাখালী , ভারুখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট ছোট বাজারে অধিকাংশ চায়ের দোকানগুলো এখন রূপ নিয়েছে এক প্রকার সিনেমা হলে । দোকানদাররা চা ,বিস্কুট , চনামুড়ি , সিঙ্গারা , চমুছা ও অন্যান্য নাস্তা বিক্রির জন্য ক্রেতা আকৃষ্ট করতে দিন রাত প্রকাশ্যে ছবি চালাচ্ছে। এতে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা কাজ কর্ম না করে চায়ের দোকানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্ছে ছবি দেখে দেখে। এ সুযোগে দোকানদাররা তাদের দোকানের নাস্তাগুলো দেদারছে বিক্রি করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যারা ছবি দেখবে তাদেরকে কিছুক্ষণ পর পর চা নাস্তা খেতেই হবে। ছবি দেখানো বন্ধ করে দিয়ে বসা থাকা লোকদেরকে বারবার চা নাস্তা খেতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক ঈদগাঁও ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা জানান। এতে সাধারণ লোকগুলো চা নাস্তা না খেয়ে উঠে গেলেও উঠতি বয়সের তরুন ও যুবকরা চলে আসতেছেনা। তারা কাজ কর্মে না যাওয়াতে অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করেেছ বলে এলাকার সচেতন মহলের সূত্রে প্রকাশ। অপরদিকে স্কুল – কলেজ ও মাদ্রাসাগামী অনেক ছাত্রকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না গিয়ে উক্ত চায়ের দোকানে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এরকম ঈদগাঁও বাস স্টেশন পার্শ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট – বড় সকল বাজারের অধিকাংশ চায়ের দোকানগুলোতে এখন দিন-রাত প্রকাশ্যে নামাজের সময় , স্কুল- কলেজ , মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে এলাকার মুরব্বীদের কথাকে কর্ণপাত না করে বরং উল্টো হুমকি ধমকি দিয়ে তাদেরকে শাসিয়ে দিয়ে এরকম ঘৃণ্যতম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার বখাটে ছেলেগুলো দলবেধে স্কুল -কলেজ , মাদ্রাসা চলাকলীন সময়ে উক্ত চায়ের দোকানগুলোতে বসে আড্ডা দিচ্ছে এবং দোকানদারকে ম্যানেজ করে লাউড সাউন্ডে উক্তত্যমূলক গান বাজিয়ে ছাত্রীদের দিকে বিভিন্ন কু মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। অভিযান চালিয়ে এসকল দোকানের সিড়ি ও টেলিভিশন জব্দ করার জন্য প্রশাসনের কাছে স্থানীয় শিক্ষিত , সচেতন মহল জোর দাবী জানাচ্ছে । এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ককসবাজার জেলার শাখার যুগ্ন সম্পাদক, যুব জাগরণ সমবায় সমিতির ম্যানেজিং কমিঠির সভাপতি উত্তর মাইজপাড়া সমাজ পরিচালনার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার পদপ্রার্থী বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানান , আমি চাই প্রশাসন এরকম দিন দুপুরে প্রকাশ্যে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করুক । এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে যেরকম সহোযোগীতা আমাকে করতে হবে আমি এলাকার বাসীর স্বার্থে করব। অন্যথায় উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা ধ্বংসের অতল গহবরে তলিয়ে যাবে। শুধু তাই নয় ছাত্র সমাজ শিক্ষা থেকে অনেক পিছিয়ে যাবে। এতে জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়বে। তিনি আরো বলেন আমি যদি এলাকার জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পেতাম তাহলে আমি সমাজ থেকে এসব পাপাচার বন্ধ করে দিতাম । এখন ও এলাকার এসব নোংরা অপকর্ম দূর করতে প্রশাসনকে আমি সাধ্যমত সহোযোগীতা করে যাব ।
Leave a Reply