আরটিএনএন
চট্টগ্রাম: সাধারণ মানুষের ওপর সরকার দিনের পর দিন নির্যাতন করে আসছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) ওপর আঘাত এসেছে। তাই মুসলমানদের আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই।
চট্টগ্রামে ধর্মীয় নেতাদের সংগঠন হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জুমার পরে সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
মহাসমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বা ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের জন্য এ আন্দোলন নয়। আমাদের আন্দোলন ১৩ দফা দাবি আদায়ের।
দাবি মেনে নিলে এ আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে জানিয়ে বক্তারা অবিলম্বে সংসদে ইসলাম, আল্লাহ ও নবীর (সা.) বিরদ্ধে কুৎসা রটনাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাসের দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘এখনও সময় আছে আল্লামা শফীর কাছে এসে তওবা করে ক্ষমা চান এবং নাস্তিকদের বিচারের ব্যবস্থা করুন।’
সাভারে নিহত শ্রমিকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তারা বলেন, ‘চক্রান্ত করে শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে। বিল্ডিং ধসে শত শত মানুষ মারা গেছে আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন বিরোধীদের নড়াচড়ার ফলে বিল্ডিং ধসে পড়েছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি!’
হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য তার পদত্যাগ দাবির পাশপাশি রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ নেতাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে তারা বলেন, ‘আমার দেশ এদেশের তৌহিদি জনতার পত্রিকা। প্রথম আলো জনকণ্ঠ চলতে পারলে আমার দেশ চলতে পারবে না কেন। অতিসত্বর আমার দেশের ছাপাখানা খুলে না দিলে তৌহিদি জনতা ছাপাখানার তালা ভেঙে ফেলবে।’
এদিকে, সমাবেশস্থলে মাহমুদুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাহমুদুর রহমান মুক্তি পরিষদ।
নারীমুক্তি প্রসঙ্গে হেফাজত নেতারা বলেন, যেদিন দেশে ইসলাম কায়েম হবে, সেদিন থেকে নারীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন হবে না। নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। ইসলাম নারীদের যে মর্যাদা দিয়েছে তা আর কেউ দিতে পারেনি।’
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ‘ইসলাম কায়েম হলে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা পাবে। অন্য কোনো ধর্ম নিয়ে হেফাজতে ইসলাম কখনও কটাক্ষ করেনি, ইসলাম সেটা সমর্থন করে না।’
বিকাল ৫টায় আল্লামা শাহ আহমদ শফি ৫ মে ঢাকা অবরোধের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশে শেষ করেন। মহাসমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।