হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ঃ (সর্বশেষ রাত ৮ টায় প্রাপ্ত খবরে জানা যায়) সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি-কোস্টগার্ডের কঠোর কড়াকড়ির প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গারা এবার গলায় প্লাষ্টিকের জারিকেন ও ড্রাম বেঁধে মিয়ানমার থেকে নাফনদী পাড়ি দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান- গতকাল ১৮ জুন বিকাল থেকে সন্ধ্যার মাঝামাঝি সময়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবক গলায় প্লাষ্টিকের ড্রাম ও জারিকেন বেঁধে নাফ-নদী সাঁতারিয়ে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে। এঘটনা সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে আগত ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরাও প্রত্যাক্ষ করেন। এব্যাপারে গতরাতে যোগাযোগ করা হলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) শাহপরীরদ্বীপ বিওপির সুবেদার মো: জাকরিয়া বলেন- এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করা বিষয়ে লোকমুখে শুনেছি, তবে এধরণের অনুপ্রবেশকারী কোন রোহিঙ্গা আটক হয়নি। জানা যায়- মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে বর্তমানে সহিংসতা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ইত্যাদির ঘটনা বন্ধ হলেও রোহিঙ্গাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুট এবং যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে রোহিঙ্গাদের জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এসব নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে রোহিঙ্গারা এদেশে পাড়ি দিচ্ছে। এদিকে স্থানীয় সর্বশ্রেণীর মানুষ রোহিঙ্গারা আবারও দলে দলে এদেশে অনুপ্রবেশ করুক তা কেউ কামনা করেনা। অপরদিকে টেকনাফের প্রাচীনতম মাদ্রাসার ১ জন প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ বলেন- বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে না দিয়ে উচিত কাজ করেছে। তাঁর মতে- এভাবে দলে দলে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দিলে সমস্যা-সমাধান হবে না। আগেও যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করে আসছে তাদের বিষয়েও কোন সুরাহ হয়নি। রোহিঙ্গাদেরকে সে দেশে রেখেই সমস্যার সমাধান করা যুক্তিসঙ্গত বলে তিনি মনে করেন। গলায় প্লাষ্টিকের জারিকেন বেঁধে সাতরে আসা বিষয়ে অনেকে মন্তব্য করেছেন- এত বড় নাফ নদী সাতরিয়ে আসা সম্ভব নয়। মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে এসে বাংলাদেশ জলসিমানার কাছাকাছি পৌছে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এভাবে গলায় জারিকেন বেঁধে সাতরে আসার কৌশল করেছে। ############
Leave a Reply