টেকনাফ নিউজ ডেঙ্ক *** ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে রতন ভৌমিক : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমড়াশাসন গ্রামের কৃষক আব্দুল মোতালেব ভূঞা অল্প জমিতে কুমড়া চাষ করে তিনি যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তেমনি অন্যের কাছেও হয়েছেন অনুকরণীয়। আধুনিক কৃষি পদ্ধতির প্রয়োগ ও পরিকল্পিত উপায়ে অল্প জমিতে কুমড়া চাষ করে আশাতীত ফলনের দরুন তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। সরেজমিন উপজেলার তেরচাটি ব-কের কুমড়াশাসন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়া চাষী মোতালেব প্রতিদিনের মত বাজারে নেয়ার জন্য বাড়ির অদূরে ক্ষেত থেকে কুমড়া তুলতে ব্যস্ত। অধিক ফলনের কারণে কুমড়ার ভারে নুয়ে পড়েছে মাচা। আর ফলন পর্যবেক্ষণ করছেন সংশ্লি¬ষ্ট ব¬কের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মুর্শেদ আলী খান, শিক্ষানুবিশ ৮ম ব্যাচের মাঠ প্রশিক্ষণার্থী কাজী মিজানুর রহমান ও মাসহুদা আক্তার। কৃষক আব্দুল মোতালেব ভূঞা (৫০) জানান, গতানুগতিক চাষাবাদে তেমন লাভবান না হওয়ায় সবজি আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করি। পরে সংশ্লি¬ষ্ট কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় কুমড়া চাষ করি। আমি এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে কুমড়া চাষ করেছি। এ বছর উপজেলায় অধিক ফলনজনিত কারণে সব ধরনের শাক সবজির দাম কম। তারপরও ফলন ভাল হওয়ায় এ পর্যন্ত আমি ২০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। তিনি আরও জানান, অল্প জমিতে কুমড়া চাষ করে লাভবান হওয়ায় তার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং আগামীতে আরও অধিক পরিমান জমিতে সবজির আবাদ করবেন ।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষক মোতালেবসহ এলাকার অনেকেই এবার ৫৫-৬০ দিনে ফলন ধরতে সক্ষম লালতীর সীড কোম্পানির দুরন্ত জাতের কুমড়ার চাষ করেছেন। সাধারণত কৃষিক্ষেত্রে সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রযুক্ত অনুযায়ী জমি তৈরি, নিয়মিত সেচ, সুষম সার প্রয়োগও ফসল সুরক্ষায় মাত্রানুযায়ী কীটনাশকের ব্যবহার। আর সবজি চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বেলে দো-আঁশ মিশ্রিত মাটি কুমড়াসহ এলাকার অন্যান্য সবজির আবাদকে গতিশীল করে তুলছে। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মুর্শেদ আলী খান বলেন, কৃষক মোতালেবের কুমড়া চাষে আগ্রহ প্রকাশের পর নির্দেশনা অনুযায়ী জমি তৈরি, সেচ প্রদান সার ও কীটনাশকের পরিমিত ব্যবহার ও নিয়মিত তদারকির ফলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে ।