ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার থেকে…ভুক্তভোগী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুতেই কব্জায় আনা যাচ্ছে না কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বহু অপকর্মের হোতা জালাল আহমদ ওরফে বাটপার জালাইল্যাকে। বছরের পর বছর ধরে সে হত্যা, ডাকাতি, প্রতারণাসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ তার বিচারাধীন বিভিন্ন আদালতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও সংশ্লিষ্টরা হদিস মিলাতে পারেনি জালালের। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন ভাবে উক্ত প্রতারককে ধরিয়ে দিতে ছবি সহকারে বিজ্ঞাপন প্রকাশ, এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিং পর্যন্ত করে দেখেছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ধুর্ত জালাল বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাঝে মধ্যে খবর আসে, জালালকে এই দেখা গেছে তারপর আর নাই। জ্বিন পরীর মত মুহুর্তেই উপস্থিত আবার মুহুর্তেই হাওয়া হয়ে যাওয়া জালালের কারণে আজ অনেকেই বাড়িঘর ছাড়া এমনকি জীবন ভয়ে পালিয়ে বেড়ালেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উক্ত জালাল উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের আলী আকবর ডেইল কিরণ পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাসেমের পুত্র হলেও সে নিজেকে নিরাপদ রাখতে নামের আগে পিছে নানা অংশ উলট-পালট প্রকাশ করে রক্ষা পেয়ে যায়। কিছুদিন আগেও কক্সবাজারে একটি গাড়ির কোম্পানিতে সে চাকুরী করে লোকজনের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে যায়।
সুত্র জানায়, খুব ধুর্ত প্রকৃতির এই জালাল অনেক সময় পিতার নাম পর্যন্ত ভুল প্রকাশ করে। সুত্র মতে, উক্ত জালালের বিরুদ্ধে বর্তমানে কুতুবদিয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। যার নং- ১৬, তাং- ২৮/১০/২০০৪, ধারা ৩৯৬, দণ্ডবিধি ২৬, জিআর মামলা নং- ১৬৮/৪, ২১৬ ক/৪১২/১০৯ বাঃদঃবিঃ জিআর নং- ১৬৮/৪ এসটি ১২০/৫, জিআর ১৫৬/৪, রামু থানার মামলা নং- ২৮/০৮/০৪ ফৌজদারী কার্যবিধির ৭৫ ধারা দণ্ডবিধি ৩৯৪ মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছাড়াও আরো বহু মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। এই অবস্থায় ভুক্তভোগী মহল অবিলম্বে পলাতক উক্ত জালালকে আটক পূর্বক আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট মহলের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকার কয়েকজন লোক জানান, জালাল এখন কোথায়? বিষয়টি কুতুবদিয়া থানা পুলিশ জেনেও তাকে আটক করছেনা। ফলে সে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় অপরাধে লিপ্ত রয়েছে বলেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, ইদানিং জালাল এতই হিংস্র হয়ে উঠেছে যে, মানুষ খুনের ভাড়াটিয়া কাজসহ নানা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার হচ্ছে।
Leave a Reply