*এম. কফিল উদ্দিন-আগামীকাল হতে পারে ঈদ। তাই চলছে পেকুয়ার কামারপল্লীতে চলছে টু টাং শব্দে বিরামহীন শেষ ব্যস্ততা। এমনিতে প্রযুক্তির ধাক্কায় হারিয়ে যাচ্ছে কামারশিল্প। বছরে একবার সুযোগ আসে একটু বেশি কামাই করে কাজ করার। অন্যান্য সময় প্রায় বেকার বললেই চলে। সারা বছর অলস সময় পার করলেও এখন অতিরিক্ত দরদাম করে নষ্ট করার মতো সময় যেন তাদের নেই। তাইতো কামাররা দাম একটু বেশি চাইলেও গ্রাহকদের কোন প্রকার অভিযোগ নেই। গ্রাহকরা কোরবানের কাটা ছেড়া সারার জন্য পরিবারের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত সব’কটি দা, ছুরি, ধামা, আর বটিগুলোর শান দেয়ার জন্য নিয়ে আসছে কামরদের কাছে। কেউ কেউ আবার নতুন করেও বানাতে আসছে। আবার কেউ নতুন তৈরী করা কিনছে। ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামার পল্লীতে টু টাং শব্দে বিরামহীন ব্যস্ততা। পেকুয়ার ভোজনরসিক মানুষ কোরবানির পশুর মাংস প্র“ক্রিয়াকরনের জন্য ধারালো দা, বটি, ছুরি, ধামায় শান দেওয়ার জন্য সবাই ছুটছে কামারপল্লীর দিকে। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি কামারের দোকানে চলছে শান দেওয়ার কাজ। অনেক দোকানদার নতুন কাজ অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারন আগে অর্ডর নেওয়া কাজগুলো পুষিয়ে দিতে হবে। এ নিয়ে ঝগড়া-বিবাদও হচ্ছে গ্রাহকদের সাথে। সরজমিনে দেখা গেছে, পেকুয়া বাজারের ৭ কামার পল্লীতে লোকজনের ভীড় চোখে পড়ার মত। দোকানগুলোতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। দোকানদার রতন কর্মকার জানান, কোরবান আসলে আমাদেতর কাজ বেড়ে যায়্ কাজ করার জন্য ৪ জন অতিরিক্ত কর্মচারী রাখা হয়েছে। দোকানে রাতদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। আগামীকাল ঈদ তাই লোকজনের ভীড় আরু বেড়ে গেছে। তিনি জানান, শান দিতে কয়লার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে কয়লার দাম বেশি। তাই শান দিতে খরচ বেড়ে গেছে।
এম. কফিল উদ্দিন
পেকুয়া প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৮১৫-৩৬৩৮০৮/০১৬৭৬-২৫৩৮৪৬
তাং: ২৫,১০,২০১২
Leave a Reply