ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার (টকেনাফ নউিজ ডটকম)
অনন্যা সাজের কক্সবাজার সৈকত দিন দিন শ্রী হীন হয়ে পড়েছে। অনেকটা অভিভাবকহীন অবস্থায় পর্যটন শহরের এই লীলাভূমিতে নেই কোন চেইন অব কমান্ড। ভাসমান হকার, কীটকট ব্যবসায়ী ও ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারসহ যার যেমন ইচ্ছা ঠিক তেমনভাবেই ব্যবহার হচ্ছে বিস্তীর্ণ এই বালুকারাশি। সৈকতের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা খুব নাজুক। বৈদ্যুতিক আলোর অভাবে সেখানে সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে রাত। ফলে সৈকতের শোভাবর্ধনকারী ঝাউবীথির অন্তরালে পরিচালিত হয় অসামাজিক কার্যকলাপ। একই সাথে ভর পর্যটন মৌসুমেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত জুড়ে টাউট-বাটপার, চোর-ছিনতাইকারী, পতিতা-খদ্দর, মাদক ব্যবসায়ীদের রাম রাজত্বতো চলছেই, দিনের বেলায় সেখানকার বেলাভূমিতে কুকুরসহ নানা গবাদি পশুর উৎপাত লক্ষণীয়।
বেশকিছুদিন ধরে কক্সবাজার সৈকত সরেজমিন পরিদর্শন ও আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সাথে আলাপে ফুটে উঠেছে উল্লেখিত তথ্য।
জানা গেছে, পৃথিবী দীর্ঘ এই বেলাভূমির নিরাপত্তায় সরকার আলাদা ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করলেও এর খুব বেশি সুফল পাচ্ছেন না পর্যটকরা। কারণ সৈকতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এই বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে থানা পুলিশের চেয়ে বেশি অভিযোগ। সূত্র মতে, ট্যুরিস্ট পুলিশই সৈকতের সকল অনিয়ম জিঁইয়ে রেখেছে। বিনিময়ে তারা সেখানে বর্তমানে যত অবৈধ ব্যবসায়ী রয়েছে, তার প্রত্যেকের কাছ থেকেই নিয়মিত বখরা পাচ্ছেন। এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের চোখের সামনেই সৈকতে রেণু পোনা আহরণের ঘটনা দীর্ঘদিনের।
অভিযোগ উঠেছে, সৈকতে ইদানিং আগাছার মত বেড়ে যাওয়া ঝুঁপড়ি ঘর ও ঝিনুক-শামুকের দোকান থেকে মাসোহারা পায় রাজনৈতিক পরিচয়ী কিছু চাটুকার ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কতিপয় অসাধুরা। এই অবস্থায়, স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিসহ সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে তড়িৎ তদারকি পূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দেশে-বিদেশে ক্ষুন্ন হবে কক্সবাজারের ঐতিহ্য। এতে করে পর্যটক কমার পাশাপাশি আমাদের অর্থনৈতিক দূরবস্থা আরো সমৃদ্ধশালী হবে।
Leave a Reply