ফরিদুল মোস্তফা খান, …রামু তান্ডবের পর যোগদানের কয়েকদিনের মাথায় সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়া রদবদল হওয়া কক্সবাজার পুলিশের দুই ওসিকে ফের পূর্বের কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অপর এক ওসিকে যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করে কক্সবাজার জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে টেকনাফ থেকে বদলী করে কক্সবাজার সদরে যোগদানকৃত ওসি ফরহাদ সোমবার থেকে পুনরায় টেকনাফ থানার ওসি হয়েছেন। একই সাথে কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহারকৃত ওসি জসিম হয়েছেন কক্সবাজার থানার ওসি। তারা দু’জনই সোমবার সংশ্লিষ্ট থানায় নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই চরম বেকায়দায় পড়ে গেছেন টেকনাফ থেকে সদ্য প্রত্যাহারকৃত ওসি মোহাম্মদ আমিরুল আলম। তাকে কক্সবাজার জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, সিনিয়র অফিসারদের হাতে ক্ষমতা থাকলে যে, যা ইচ্ছা তাই করা যায়, এই রদবদলই তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। তারা বলছেন, শুধু-শুধু জেলা পুলিশ অভ্যন্তরে উক্ত নাটকীয় বদলীর কোন কারণ ছিল না। এতে করে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট জনপদে।
সচেতন মহল বলছেন, মাসের ভিতর এত ঘন ঘন ওসি বদল ও প্রত্যাহারের বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল লাভবান হলেও আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কারণে এলাকার জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ একজন ওসি যাবেন- আবার আসবেন তারপর পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। সবই যেন অ™ভুত পরিস্থিতি। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অপরাধী মহলও নিজেদের অপকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
নাটকের মত ঘন ঘন ওসি বদলানোর কারণ জানতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নওশের আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোন প্রশ্ন থাকলে আপনার এসপির সাথে যোগাযোগ করুন।
কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আজাদ মিয়া দুই ওসিকে পুনরায় স্ব-স্ব থানায় যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আগে তারা যে থানার ওসি ছিলেন, এখন থেকে সেখানেই দেয়া হয়েছে।
রদবদল হওয়া ওসিরা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ যখন যে নির্দেশ দিবেন, তাই পালন করা ছাড়া আমাদের অন্যকোন উপায় নেই।
Leave a Reply