কক্সবাজারে অবরোধ চলাকালে পুলিশের সাথে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা, অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ, গুলি বর্ষণে অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ এক আইনজীবী সহ ১৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানিয়েছেন, অবরোধে নাশকতার চেষ্টাকালে পুলিশ ১৭ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর থানায় ১১ জন, রামুতে ২ জন ও উখিয়ায় ৪ জনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে।
অবরোধকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংক রোড, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) জসীম উদ্দিন জানান, বাস টার্মিনাল ও লিংক রোড এলাকায় নাশকতার চেষ্টাকালে পুলিশ ১১ জনকে আটক করেছে। তার মধ্যে শাহজাহান, এডভোকেট আমিনুল হক, মিজকাতুল হামিদ, ফরিদুল হক, এনাতুল করিম, রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, কামাল উদ্দিন এর নাম পাওয়াগেছে। এরা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের দায়িত্বশীল। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে ১৮ জন আহত হয়।
সকাল ৯টার দিকে চকরিয়া পৌর স্টেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। ওই সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
চকরিয়া পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার জানান, পুলিশ অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে ২৪ জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং পুলিশ ৩ জনকে আটক করলে ও নেতা কর্মীদের চাপের মুখে পুলিশ আটক কৃতদের ছেড়ে দেয়।