কক্সবাজার থেকে: উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার সদরসহ উপকূলীয় এলাকার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১১টার দিকে জেলা সদরের সকল বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া জেলার আটটি উপজেলার লোকজনদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে বেলা ১২টায় মহাসেন মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি সভা আহবান করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন,‘জেলা সদরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদেরকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মো. রহুল আমিন জানান, জেলার আটটি উপজেলার ইউএনওকে স্থানীয় জনসাধারণকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা সদরের সমিতি পাড়া, নাজিরার টেক নুনিয়ার ছড়া, পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়া, খুরুশকুল গোমাতলী, পোকখালীসহ মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার উপকূলীয় এলাকার লোকজনদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, যারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে রাজি হবেন না, তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। প্রশাসনের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে।
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া মংলায় ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুধবার আবহাওয়া অধিদফতর এ ঘোষণা দেয়। সাধারণত ১০ নম্বর পর্যন্ত সতর্ক সঙ্কেত ব্যবহার করে থাকে (দুর্যোগকোষ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, প্রকাশকাল-জুলাই, ২০০৯)।
গত শনিবার উপকূল থেকে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর একশ’ কিলোমিটার এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেনে’ রুপ নেয়।