এম.জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী কক্সবাজার থেকে..
সরকারী খাদ্য গুদামের চাল নিয়ে কেলেংকারীর শেষ নেই। পাচারকালে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর গুদামের চাল হাতবদল হয়ে গুদামেই চলে যাচ্ছে। এ অভিযোগ ছিল অনেকদিন ধরে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই দফায় সরকারী গুদামের চাল পাচার কালে আটক করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু দুই বারই সিন্ডিকেট সদস্যরা কৌশলে চাল গুলো ছাড়িয়েনিয়েছে।
জানা যায, ৩১ মে শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদরের লিংক রোড় বিসিক শিল্প এলাকায় ব্যক্তি মালিকাধীন গুদামের মজুদকালে ৬’শ বস্তা চাল সহ ট্রাক আটক করে কক্সবাজার থানা পুলিশ। আটককৃত চালের বস্তায় লেখা রয়েছে খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য। আটক অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই মাহবুবর রহমান ওই সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, সরকারি খাদ্যগুদামের চাল ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদামে মজুদের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ট্রাক সহ চাল গুলো জব্দ করেন। চাল এর বিষয়ে চালানের কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু শুক্রবার রাতেই চাল গুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে মডেল থানার এসআই মাহবুবর রহমান জানান, আটক চাল গুলোর ব্যাপারে কাগজ পত্র যাচাই করেই আটক চালের মালিক মেসার্স কাকলী এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী কাজল পালকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে । গত ২৬ মে ২ টি ট্রাক সহ পাচারকালে ৮ শত বস্তা চাল আটক করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা চালানের কাগজপত্র দেখিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কক্সবাজারস্থ ১৭ ইসিবি’র মেজর আনোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২১ এপ্রিল মেসার্স কাকলী এন্টারপ্রাইজের কাজল পালকে ৭ টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। তা ওই দিন চকরিয়া থেকে চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামের ইনচার্জ মোহাম্মদ আয়ুব আলী জানান, আটক করা চাল তার গুদামের নয়। তবে খাদ্য গুদাম সংশি¬ষ্ট এলাকার কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা ৩ টি ট্রাক যোগে গুদাম থেকে চাল বের করতে দেখেছে। একই সঙ্গে পুলিশের জব্দ করা চালের বস্তায় সরকারি খাদ্য গুদামের চিহ্নও দেখা গেছে।এখন জনমনে প্রশ্ন হচ্ছে আসলে চাল গুলো কি ১৭ ইসিবি’র , নাকি বগুড়ার। আসলে কোন টাই সত্য না। আসলে সদর খাদ্য গুদাম থেকে চাল গুলো পাচার করা হয়েছে।