বার্তা পরিবেশক=ইসলামি গবেষক ও চট্টগ্রাম ওমর গণি এমইএস কলেজের অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যে সব দেশে মহিলাদের খোলামেলা পোষাকে চলাফেরা সুযোগ রয়েছে সে সব দেশেই নারীঘটিত অপরাধের হার বেশি।’
তিনি বলেন, ‘খোলামেলা পোষাকে চলাফেরার সুযোগের কারণেই আমেরিকায় প্রতি ৩ সেকেন্ডে একজন মহিলা প্রকাশ্যে ধর্ষণের শিকার হন।’
তিনি রোববার কক্সবাজারে ‘বহুধর্মীয় সমাজ ব্যবস্থায় ইসলামের দিক-নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্টান ‘ইসলামিক রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইআরডিএফ)’ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ড. খালিদ হোসেন মনে করেন, ‘নারীরা শরীয়তের বিধানের ভেতরে থেকে সকল কাজই করতে পারেন। নারীকে কখনোই বাইরে কাজে দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র সতর্ক করা হয়েছে। ইসলামি পোষাক রীতির কথা বলা হয়েছে।’
তিনি মনে করেন, নারী চাইলে বিমান চালনাও করতে পারেন। বিমান চালনা শিক্ষা একটি ফরজে কেফায়া। তবে এমন শিক্ষা গ্রহণ করা হারাম, যে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ‘ইয়াবা’ ট্যাবলেট বানাতে শিখবে।
কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত এই সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুচ্ছালাম কুদছী ও মাওলানা নুরুল কবির।
সেমিনারে বক্তাগণ বলেন, ‘ইসলামই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম। সমাজের সকল ধর্মের ও মতের মানুষ যেন নিরাপদে বসবাস করতে পারেন তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ইসলামই দিয়েছে।
তাদের মতে, সমাজে সর্বদা শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ইসলামের অনুপম নির্দেশনা।
বক্তাগণ আরও বলেন, ‘আলেমগণ হলেন সমাজের নেতা। ইসলামের অমলিন শান্তির বার্তাবাহক। তাদেরই দায়িত্ব হলো মানুষের মাঝে ইসলামের সংস্কৃতি ও সংহতির প্রকৃত আহবান ছড়িয়ে দেয়া।
আইআরডিএফের মিডিয়া সমন্বয়কারি যাকারিয়া হাসানাত জানান, এই সেমিনারের কক্সবাজারের অর্ধশতাধিক ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।