উখিয়ানিউজ ডটকম প্রতিবেদক:উখিয়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীরা তাদের পাট কার্যত্র“ম চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কোন খবর নেই।উখিয়ানিউজ ডটকমে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কয়েকদিন দৌড়ঝাপ দিলেও এসব শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে এস শিক্ষার্থীরা বর্তমানে স্কুলে অনুষ্টিত স্কুল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। এতসব কিছু ঘটলেও এসব ব্যাপারে উখিয়া শিক্ষা অফিস কিছুই জানেনা। স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগের নিবিড় তদারকীর অভাবে রোহিঙ্গা
ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে দিব্যি ক্লাস করে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব ছাত্র ছাত্রীরা কৌশলে জন্ম নিবন্ধ, জাতীয়তা সনদ সংগ্রহ করে ভর্তি হওয়ার সময় স্কুলে জমা দিয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সম্প্রতি আদায় করে নিচ্ছে। তবে বিষয়টি আই ওয়াশ মাত্র। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, একেক জন রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সময় ৫
থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় স্কুল শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমেটির সদস্যরা। তবে তারা বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবী করে থাকে। সকাল ৮ টা থেকে স্কুল সময়ে
কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের আশ পার্শ্বে দাঁড়ালে শতাধিক রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রী শরনার্থী ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়ত করতে দেখে যায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্টার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী রোহিঙ্গা ছেলে-মেয়ে অধ্যায়ন করছে কুতুপালং শরনার্থী শিবির থেকে কিছু দুরে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা
শরনার্থীদের মধ্যে যারা বর্তমানে স্কুল পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে
মোহাম্মদ জোহার এমআরসি নং ৪০৭০৯ সেড নং ০২/বি(দশম শ্রেনী), মোহাম্মদ
সেলিম এমআরসি নং ১৩৭২ সেড নং ৩৬/এ (দশম শ্রেনী), মোহাম্মদ ইউনূস এমআরসি
নং ৫২৮৫৫ সেড নং ০৬/বি(নবম শ্রেনী) ,ইউসুফ জালাল এমআরসি নং৫০৯৯৭ ব্লক
নং১৫/এ(সপ্তম শ্রেনী),জাহিদ আলম এসআরসি নং জে০২৪৩ ব্লক নং৫৪/সি (সপ্তম
শ্রেনী), উমর ফারুক এমআরাসি নং জে ১১৬৪ ব্লক নং২৮/জি (সপ্তম শ্রেনী),
মোহাম্মদ আলম এমআরসি নং জে ০৫৩০ব্লক নং০৯ /এ ( অষ্টম শ্রেনী ), মোহাম্মদ
জোবাইর এমআরসি নং ৫২০১১ ব্লক নং ২১/বি (সপ্তম শ্রেনী) এছাড়া উম্মে হাবিবা
(৬ষ্ট শ্রেনী), আবু তৈয়ব(সপ্তম শ্রেনী), তসলিমা আক্তার (অষ্টম শ্রেনী),
খালেদা বেগম (অষ্টম শ্রেনী) হাসমত উল্লাহ (১০ম শ্রেনী). সুলতান মোহম্মদ
(৯মশ্রেনী), ছেনু আরা বেগম(৭ম শ্রেনী), নবী হোসাইন(৭মশ্রেনী) মোঃ
সুজন(৭মশ্রেনী) ,ফরিদ আলম(৭ম শ্রেনী), নুরুল হাকিম(৮ম শ্রেনী) মজিব
উল্লাহ(৭ম শ্রেনী), নুর উল্লাহ(৬ম শ্রেনী), মোঃ ইসমাইল (৬ম শ্রেনী) ,আবু
তৈয়ব(৮ম শ্রেনী) রাশেদুল ইসলাম(৭ম শ্রেনী)। এসব রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী
দীর্ঘদিন যাবত বহাল তবিয়তে পড়ালেখা চালিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে নিশ্চুপ
রয়েছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। যাদের এসব তদারকি করার কথা সেই উখিয়া শিক্ষা
অফিস এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা। এ ব্যাপারে কুতু পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান তার স্কুলে রোহিঙ্গা কিছু ছাত্র ইতি পূর্বে
তথ্য গোপন করে ভর্তি হলে তা জানতে পেরে তাদের স্কুল থেকে বহিস্কার করা
হয়েছে, তবে এখন ও ২/১ জন রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী থাকতে পারেন বলে তিনি জানান
এবং অচিরেই এসব শিক্ষার্থীদের চিন্থিত করে বের করে দেওয়ার কথা তিনি
জানান। কুতুপালং স্কুলের প্রথান শিক্ষক রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে স্বীকার
করলেও উখিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম রেজা কিছুই জানেননা। এ
ব্যাপারে তার বক্তব্য হলো, এটা দেখার দ্বায়িত্ব সংশ্লিষ্ট স্কুল
কতৃপক্ষের। আমি এসব ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
Leave a Reply