বিডিনিউজ:
নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে ২২ জুন সারাদেশে উপজেলা ও থানা সদরে বিক্ষোভ করবে ১৮ দলীয় জোট। সোমবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “সারাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী- আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্যাতন বন্ধ ও আটক নেতাদের মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশের উপজেলা ও থানা সদরে ২২ জুন বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
ফখরুল জানান, গত শনিবার চার সিটি কর্পোরেশনে জোট সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় বৈঠকে ১৮ দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এজন্য চার মহানগরের ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
গত শনিবার চার সিটি কর্পোরেশনের ভোটে সিলেটে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, বরিশালে আহসান হাবিব কামাল, রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও খুলনায় মনিরুজ্জামান মনি মেয়র নির্বাচিত হন। চার সিটিতে ১১৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বিরোধী জোটের ৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকে গাজীপুরের আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর মজলিশের শুরা সদস্য রেদোয়ান উল্লাহ সাহেদী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির খন্দকার লুৎফর রহমান, পিপলস পার্টির মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল মালেক চৌধুরী, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবদুর রশীদ প্রধান, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব খালেদ শাহরিয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।