ইমাম খাইর : কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট একেএম শাহ্জালাল চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সাড়ে ৫ মাস কারাভোগের পর বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তিনি বের হলে জেলগেটে তাকে অসংখ্য লোকজন সংবর্ধনা দেন। এর পরে স্পেশাল গাড়িতে করে তাকে উখিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাকে এলাকাবাসী ব্যাপক সংবর্ধিত করে বলে জানা গেছে। এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট একেএম শাহ্জালাল চৌধুরী’র জামিনের সংবাদে আদালতপাড়ায় আইনজীবীসহ সাধারণ লোকজন আনন্দিত বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। গত বছরের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর রামু ও উখিয়ার বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৯টি মামলা হয়। দীপাংকুর বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর মামলায় শাহজালাল চৌধুরীকে ১ নং এজাহারনামীয় আসামী করা হয়। এ কারণে তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে এলে ১৭ জানুয়ারী রাতে নিজ বাসা থেকে পুলিশ তাকে খয়রাতিপড়ার মামলায় আসামী দেখিয়ে গ্রেফতার করে। ওই মামলাতেও তিনি জামিন পেলে তাকে শ্যুন এ্যারেষ্ট দেখানো হয়। পরবর্তীতে একে একে ছয়টি মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জিএম রহিমুল্লাহ জানান, যে সব বৌদ্ধমন্দির পুড়ানো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় ওইসব মন্দিরের ধর্মীয় গুরুরাই এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন। এমনকি তারা শাহ্জালাল চৌধুরীর মুক্তির দাবীতে গণস্বাক্ষর নিয়ে প্রশাসনের নিকট জমা দিয়েছিলেন। এরপরও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। বরং নতুন মামলা দিয়ে তাকে সাড়ে পাঁচ মাস জেলে আটকে রাখা হয়। তার আইনজীবী এডভোকেট আবদুল মান্নান জানান, সর্বশেষ ২৪ জুন সোমবার ছয়টি মামলার সবকটিতেই উচ্চ আদালত শাহ্জালাল চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন। একইসাথে উচ্চ আদালত আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোন ধরণের হয়রানি না করার জন্যও নির্দেশ দেয়। কক্সবাজার জেল সুপার সাঈদ হোসেন জানান, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।