আবদুর রহিম সেলিম,… উখিয়ায় হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রনয়নে দায়িত্বে নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে মনগড়া তথ্য সংগ্রহ করেছে। সুপার ভাইজার গন সংগৃহীত তথ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে দায়িত্ব শেষ করায় ৫ ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার ভোটার বাদ পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধির অভিযোগ। উপজেলা প্রশাসনে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভোটার তালিকা যাছাই বাছাই কালে একে অপরের দোষারারোপ করছে। বাদ পড়া ভোটারেরা ভোটার হওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন চত্বরে জমায়েত হয়ে প্রশাসনের ব্যাপক অনিয়ম, দুনীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উত্তাপন করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে দেশ ব্যাপি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জ্লুাই এ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। ৬২ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৪ জন সুপার ভাইজার হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রনয়নে কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ইতিপূর্বে তাদের কে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে কাগজ পত্র সরবরাহ করেছে। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে সে জন্য এসব তথ্য সংগ্রহকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষ ফরম পূরণ করার বাধ্যবাদকতা থাকলেও তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে নিজ বাড়িতে বসেই মনগড়া তথ্য সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন অফিসারের কাছে জমা দিয়েছে। যে কারণে সংগৃহীত ও পূরন করা বিশেষ ফরমে একাধিক ভুল তথ্য উপস্থাপন করায় প্রকৃত ভোটারেরা বাদ পড়েছে। এছাড়াও এ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজারের ও অধিক ভোটার বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের ৩৬ জন মহিলা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট দাখিল করলেও তাদের ব্যাপারে কোন সুরাহা হয়নি।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর পছন্দের লোকজনকে তথ্য সংগ্রহ কারী ও সুপার ভাইজার হিসেবে প্রশাসন প্রভাবিত হয়ে নিয়োগ দেওয়ায় ফলে তার পক্ষের প্রায় ১ হাজার ভোটারকে বাদ রেখে দায়িত্ব শেষ করেছে। এব্যাপারে দায়িত্বরত সুপার ভাইজার মফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোন প্রকার সন্তোষ জনক উত্তর দিতে পারেননি। রতœাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা খদিজা বেগম (২৫) অভিযোগ করে বলেন, সে যাবতীয় কাগজ পত্র জমার দেওয়ার পরও তাকে ভোটার করা হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যন নুুরুল কবির চৌধুরী বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রনয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহ কারীরা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে তার এলাকায় প্রায় সহশ্রাধিক ভোটারকে বাদ রেখে দায়িত্ব শেষ করেছে। তিনি উক্ত ভোটারদের অবিলম্বে পুনরায় ভোটার করে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। একই ভাবে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু বলেন, তার এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপার ভাইজার বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ঘরে বসে বিশেষ ফরম পূরণ করে নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছে। যে কারণে তার এলাকায় প্রায় ১ হাজার ভোটার বাদ পড়েছে। এভাবে ৫ ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার ভোটার বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত যাছাই বাছাইয়ের দিনে কমিটির কর্মকর্তা বৃন্দ বাদ পড়ার ভোটারদের নিয়ে একে অপরের দোষারারোপ করতে দেখা গেছে। এই নিয়ে তুমুল হৈ চৈ শুরু হলে ইউএনও সভা শেষ করে দেন। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাঈদ মোঃ আনোয়ার খালেদ বলেন, যে সব ভোটার বাদ পড়েছে তাদের কে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার জন্য পুনরায় ছবি সংগ্রহের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত না থাকায় তাদের ইউনিয়নে কিছু কিছু অনিয়ম হয়েছে। যা সংশোধন করতে এখন ভুল বুঝা বুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।
আবদুর রহিম সেলিম
উখিয়া, কক্সবাজার।
০১৮৪০-০০৩৮৩৬
Leave a Reply