এম আবুল কালাম আজাদ উখিয়ায় কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় ৫ম শ্রেনীর ছাত্র গোলাম আজমের (১২) ডান হাত পঙ্গু হয়ে গেছে। ফুটবল খেলাতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে কবিরাজ মির আহম্মদের (৫০) কাছে গেলে সে চিকিৎসার মাধ্যমে হাত ভাল করতে পারবে বলে ওই ছাত্রের হাতে বাঁশের কাটি বেঁধে দিলে রক্ত সঞ্চালন হতে না পেরে হাতটি নষ্ট হয়ে যায়।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামের হাফেজ মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্র গোলাম আজম (১২) গত ৩০ মে বিকেলে ফুটবল খেলার সময় ডান হাতের কবজিতে জখম প্রাপ্ত হয়। আত্মীয় স্বজন ও সহপাটিরা হাসপাতালে নেয়ার পথে জালিয়া পালং আনাইর পাড়া গ্রামের মৃত মিয়া হোছন প্রকাশ বাইট্টা মিয়া হোছনের পুত্র কবিরাজ মির আহম্মদ (৫০) চিকিৎসার মাধ্যমে হাত ভাল করতে পারবে পরামর্শ দিয়ে ৫শত টাকা নিয়ে আহত ছাত্রের হাতে গাছ গাছালির কিছু ওষুধ লেপন করে বাঁশের কাঠি বেঁধে দেয়। দুই এক দিন পর ওই ছাত্রের যন্ত্রনা বেড়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাহাকে কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে নিয়ে গেলে জখম স্থানে পচন ধরায় কর্তব্যরত ডাক্তার চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আহত ছাত্রের পিতা হাফেজ মোসলেহ উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শ মতে তার কুনুই পর্যন্ত হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ছাত্রের পিতা হাফেজ মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে গত ১৪ জুলাই অভিযুক্ত কবিরাজ মির আহম্মদকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কবিরাজ মির আহম্মদের মোবাইলে বার বার যোগের চেষ্টা করেও পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply