আবদুর রহিম সেলিম, ফেসবুকে কেরআন অবমাননার জের ধরে বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বসত বড়াীতে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় বিএনপির সাধারন সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী সহ বিএনপি জামায়াতের ৪১ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। গতকাল বুধবার ভোর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই সব মামলায় জড়িত থাকার দায়ে আরো ১৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পুলিশ জানায়, তদন্তের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে, কারা এ হামলায় জড়িত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ এ পর্যন্ত ৬০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। স্থানীয়রা জানান, পুলিশের ধর পাকড় অভিযানে অনেক নিরহ লোক গ্রেপ্তার হচ্ছে। পুলিশ কোন ধরনের যাচাই-বাছাই না করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করায় গতকাল বুধবার থানা ক্যাম্পাসে তাদের আতœীয়- স্বজনকে ভীড় করতে দেখা গেছে। পুলিশের ধর পাকড়ে বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আপাতত অন্যত্রে গা ঢাকা দিয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া টেকনাফের সাবেক সাংসদ শাহ জাহান চৌধুরী জানান, বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যে এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে। তিনি ঘটনার সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। উখিয়া টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি সিআইপি রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিহারে পূর্ব পরিকল্পিত গর্জনিয়ার ভাড়াটে আরএসও বিরোধী দলের ইন্ধনে সু-কৌশলে ঘটনার জন্ম দিয়ে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার পায়তাঁরা করছিল। প্রশাসন তৎপর থাকায় সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামের নির্দেশে বুধবার বিকেলে মাইকিং করে ১৪৪ ধারার ব্যাপারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কিছুটা শিথিল করা হয়। থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। তবে ৩টি মামলায় কত জন আসামী করা হয়েছে তিনি এ ব্যাপারে মূখ খুলতে নারাজ।
##
আবদুর রহিম সেলিম
উখিয়া, কক্সবাজার
০১৮৪০-০০৩৮৩৬।
Leave a Reply