মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও………ঈদগড়ে সকল অসামাজিক কার্যকলাপের মূলে রয়েছে বার্মাইয়া রোহিঙ্গারা। এমন কোন অপরাধ নাই যার সাথে তারা কোন কোন ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। প্রশাসন শত ইচ্ছা করলেও তাদের কারণে অপরাধ ও অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে পারছেন না। জানা যায়, ঈদগড়ের বিভিন্ন এলাকায় এখন শত শত রোহিঙ্গাদের বসবাস। স্বার্থান্বের্ষী বাঙ্গালীদের আশ্রয় প্রশ্নয়ে এরা নিজেদের ভিত্তি মূলকে দিন দিন শক্ত করে তোলছে। এদের নেই কোন শিক্ষা, নেই কোন সভ্যতা, নেই সামাজিকতা। সমাজের বোঝা হিসেবে মনে করছে তাদেরকে সবাই। সরকারী বন বিভাগের জায়গা-জমি দখল, নানা অপরাধ ও আসামাজিক কার্যলাপে জড়িত থাকাই তাদের একমাত্র পেশা। চুরি, ডাকাতি, বনভূমি নিধন সহ অন্যান্য রাষ্ট্র/ সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথেও তারা সম্পৃক্ত। ঈদগড়ের হাসনাকাটা, ধুমছাকাটা, চরপাড়া, বড়বিল, নোয়াপাড়া, কাটজঙ্গল, বউঘাট, বার্মাপাড়া, করলিয়ামুরা সহ বিভিন্ন পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতেই এসব অসামাজিক বার্মাইয়াদের অবাধ বিচরণ। তাদের আস্তানাসমূহ ঘুরলে দেখা যাবে, প্রায় প্রতিটি বার্মাইয়া পরিবারেই সন্ধার পর বসে মদ ও গাঁজার আড্ডা, চুরি, ডাকাতি, বনভূমি উজাড় সহ জুয়া খেলা এবং পতিতাবৃত্তির মত জঘন্য কাজেও এরা তৎপর। তাদের অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। শত বাঁধা-বিপত্তিকে ও তোয়াক্কা করছে না রোহিঙ্গারা। এ ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এলাকার স্থানীয় লোকদের জীবন যাপন স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply