মো: রেজাউল করিম…ঈদগাঁও বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ মানুষখেকো পিরানহার বিক্রিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে ২৭ জুলাই বিকেলে। এ সময় চতুর্দিক থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ বৃহৎ এ বাজারে মাছরূপী অবৈধ পিরানহার জমজমাট ব্যবসা করে আসছে। জনস্বাস্থ্যের প্রতি কোনরূপ তোয়াক্কা করছে না ফায়দালোভী কতিপয় মাছ ব্যবসায়ী। প্রশাসনিক নজরদারী না থাকায় স্থানীয় জনগণের অসচেতনতার সুযোগে দীর্ঘদিন তারা পিরানহা বেচাবিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর টাকা। এদিকে বাজারের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার এম. মুহিবুল্লাহ নিজামী শুক্রবার বিকেলে মাছ বাজারে গিয়ে অবৈধ পিরানহা দেখতে পান। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাকে চ্যালেঞ্জ করে ভবিষ্যতে এর বেচাবিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য বলেন। তাদের তর্কাতর্কির সময় মাছ বাজার ও আশপাশ এলাকার বহুলোক উক্ত স্থানে আসলে এক পর্যায়ে পিরানহা ব্যবসায়ী জনতার রুদ্র রোষে পড়েন। স্থানীয় চিকিৎসক ও সচেতন মহলের মতে জনস্বাস্থ্যের জন্যে পিরানহা খুবই ক্ষতিকর। জনগণের অসচেতনতায় নিষিদ্ধ এ মাছ বিক্রি করে টু পাইস কামিয়ে নিচ্ছে মুনাফাবাজ ঐ ব্যবসায়ীরা। জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত জনৈক মাছ ব্যবসায়ী কক্সবাজার ফিসারী ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে রূপচাঁদা বলে এ পিরানহা বিক্রি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। সচেতন মহল জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে বাজারে পিরানহার বেচাবিক্রি নিষিদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান।
Leave a Reply