আতিকুর রহমান মানিক= চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান ক্ষেতে আর পানির প্রয়োজন না হওয়ায় ঈদগাঁও নদীর রাবার ড্যাম ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাবার ড্যামের সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ধানী জমি সমুহে বোরো ধান পাকতে আরম্ভ করায় জমিতে আর পানি সেচের প্রয়োজন হবে না। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে রাবার ড্যামের পাম্প হাউস থেকে পাম্প চালিয়ে রাবার ড্যাম কমিয়ে ফেলা হয়। রাবার ড্যাম ছেড়ে দেয়ার ফলে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় প্রতি বছরের মত এ বছরও স্থানীয় হাজারো জনগণ নদীতে বিভিন্ন উপায়ে মাছ শিকারে নেমে পড়ে। ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়াঘোনা থেকে আরম্ভ করে ভাটির পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী পর্যন্তু ৮/১০ কিলোমিটার এলাকায় নদীতে পুটি,সরপুটি,বাইন,ঠুইট্টা,শিং,মাগুর,কই,টেংরা,রুই কাতলা, বোয়াল, টাকি, মৃগেল ও বিশেষ করে গলদা চিংড়ি সহ হরেক রকমের মাছ মৎস্য আহরণকারীদের জালে ধরা পড়েছে। প্রতি বছর রাবার ড্যাম ছাড়ার দিনে নদীতে মাছ ধরার জন্য স্থানীয় জনগণ অপেক্ষা করে থাকেন। এ বছরও রাবার ড্যাম ছাড়ার খবর শোনার সাথে সাথে স্থানীয় ছাড়াও দুর-দুরান্তুর থেকে সৌখিন মৎস্য শিকারীরা এসে নদীতে নেমে পড়েন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্তু নদীর টেক,বাঁক ও কুম সহ বিভিন্ন পয়েন্টে জাল ফেলে মাছ ধরে বাড়ি ফিরে যান তারা। আবার অনেক পেশাদার মৎস্যজীবি সংগৃহীত অতিরিক্ত মাছ বিক্রির জন্য ঈদগাঁও বাজারে নিয়ে আসেন। পুটি মাছ প্রতি কেজি ১৫০, কার্প জাতীয় মাছ ২০০ ও গলদা চিংড়ি আকার ভেদে ৬০০-১০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। জালালাবাদ বাহার ছড়ার প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ মোঃ এমরান বাবুল জানান, ঈদগাহ বাজার থেকে বড় সাইজের গলদা চিংড়ি ১ হাজার টাকা কেজি দরে কিনেছেন। জালালাবাদ ফরাজীপাড়ার সৌদি প্রবাসী জয়নাল সৌদি আরব থেকে ফোন করে বলেন, দেশে থাকলে হাজারো কাজ ফেলে রাবার ড্যাম ছাড়ার দিনে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন, কিন্তু এখন বিদেশে অবস্থানের ফলে এ সব ব্যাপার খুব মিস করছি।