মোঃ রেজাউল করিম ,ঈদগাঁও ……বৃহত্তর ঈদগাঁওর বন্যা কবলিত অসহায় লোকজনের পুর্ণবাসনের যথাযথ উদ্যোগ না থাকায় সাংশ্লিষ্টদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বন্যার্তদের সহায়তায় এ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেন নি। তবে সরকারী ভাবে যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম বলে জানা গেছে। এদিকে ভারী বর্ষণ বন্ধ হওয়ায় প্লাবিত এলাকা থেকে পানি সরে যাচ্ছে। বন্যায় যাদের ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের অনেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টি বন্ধ ছিল। প্রখর রৌদ্রে প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার পানি নিস্কাশন হতে শুরু করেছে। তবে বন্যা কবলিত এলাকার শত শত ঘরবাড়ী এখনো দূর্যোগগ্রস্ত রয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারী বেসরকারী সহযোগিতার তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনূভব করলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাচ্ছেন না। তবে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারী ভাবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ চলছে। বিতরণকৃত ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় ডায়রিয়া সহ নানা পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিতে শুরু করেছে। অসহায় লোকজন তাদের সহায় সম্পত্তি এবং ঘরবাড়ি হারিয়ে এক প্রকার নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের পক্ষ থেকে যে সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি সে সব এলাকায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ী ও লোকজনের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যে মনোমালিন্য ও রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে স্বজন প্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগীরা। কোন কোন এলাকার চেয়ারম্যান বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের অবস্থা সরেজমিন প্রত্যক্ষ ও তাদের খোঁজ খবর নেয়া অব্যাহত রেখেছেন।
Leave a Reply