এস. এম. তারেক… এককালের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চার উর্বর চারণভুমি এবং অন্যতম বৃহত্তম বানিজ্য কেন্দ্র কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চা অঘোষিতভাবে একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। বছর কয়েক আগেও খেলাধুলা সংস্কৃতিতে জেলা ছাড়িয়ে সারা দেশে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিদদের সুনাম ছিল ঈর্ষনীয়। সংস্কৃতি চর্চার জন্য একটি অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম এবং এবং ক্রীড়া চর্চার জন্য আধুনিক মানের একটি স্টেডিয়াম না থাকাতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন ঈদগাঁও’র বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব ও বিকেএসপির তালিকাভুক্ত রেফারী এবং ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আবদুল মজিদ খান জানান, বর্ষাকালে অনুপযুক্ত খেলার মাঠ, ক্রীড়া চর্চার ক্ষেত্রগুলোত সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণ, সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাপন, আধুনিক মানের খেলার মাঠের অভাব ইত্যাদি সব কারণে বর্তমানে ঈদগাঁওতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ঈদগাঁও থেকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হা-ডু-ডু, বউচি, কানামাছি ইত্যাদি সব বিলুপ্তি হয়ে গেছে। অথচ ঈদগাঁওর সাবেক ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব মরহুম সাবেক মোস্তাক আহমদ, হাবিবুল্লাহ, নুরুল আলম ফরাজী, বাজার পরিচালনা পরিষদ সভাপতি- নুরুল আমিন হেলালী, আনু মৌলভী, পোকখালীর চেয়ারম্যান মৌলভী ফরিদুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ, মোস্তাক মেইকার, মরহম নুরুজ আজিম এবং ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সলিম উল্লাহ সহ আরো অনেক ক্রীড়া ব্যাক্তিত্বের পদভারে এক সময় ঈদগাঁও হাইস্কুলের মাঠ সরগরম থাকলেও এখন সে জৌলুস আর নেই। খেলোয়াড়দের পদচারনায় ঈদগাঁও হাইস্কুল মাঠ কিংবা নাপিতখালী খেলার মাঠ কিংবা, কলেজের মাঠ এখন আর মুখরিত থাকেনা। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও আরো দৈন্যদশা। শীতকালে পালা গান, যাত্রাগান, সার্কাস, নাটক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে পুরো এলাকা একসময় সরগরম থাকলেও আকাশ সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি নির্ভর জীবন যাত্রার কারণে তা এখন কালের গর্ভে হারিয়ে হারিয়ে গেছে। বাংলার মানুষের জীবন গাঁথা এসব সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ঈদগাঁওতে একটি অডিটরিয়াম প্রয়োজন বলে মনে করছেন বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন মিডল কক্্র’র সভাপতি কাফি আনোয়ার। বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবান ব্যাক্তিরা আশা করছেন সংস্কৃতি চর্চা ও ক্রীড়ায় জাতীয় ক্ষেত্রে অবদান রাখতে এসব দাবী পুরণে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রেমিক প্রধানমন্ত্রী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ক্রীড়া ও সং¯কৃতি চর্চার ক্ষেত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ঈদগাঁও’র প্রতিটি মানুষের।
৯/১০/১২ইং।
Leave a Reply