এম বশর চৌধুরী উখিয়া …..নানা ব্যস্ততার মাঝেও পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব নিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটাতে সবাই চায়। প্রকৃতি ও আধুনিকতার মেলা বন্ধনে যারা একান্ত কিছু সময় কাটাতে চান তাদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী পাথুরে বীচ পর্যটন স্পট ভিন্ন এক হাতছানি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নয়ানাভিরাম এ পর্যটন স্পটের প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকনের জন্য প্রতিদিন ছুটে আসছে দেশী বিদেশী হাজারো পর্যটক। বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে মাইক্রোবাস যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি চালিত টেক্সী, মোটর বাইক, ব্যাটারী চালিত টমটম গাড়ীসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হযে ইনানী পাথুরে বীচ দর্শনে আসা যায়। মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে ইনানী ভ্রমণে আসলে যাত্রীবাহী গাড়িতে জনপ্রতি মাত্র ৩০ টাকা ভাড়ার প্রয়োজন হয়। আর যারা সিএনজি চালিত টেক্সী কিংবা ব্যাটারী চালিত টমটম গাড়ী নিয়ে রিজার্ভ আসে তাদের ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়ার প্রয়োজন হয়। ব্যাটারী চালিত মোটর বাইক নিয়ে একসাথে ৩ জন আসলে ২০০ থেকে ২২০ টাকা ভাড়ার প্রয়োজন হয়। ভোর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ীর সুব্যবস্থা থাকে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ, সৈকত পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ সহ স্থানীয় জনসাধারণ আন্তরিকতার সহিত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। হিমছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প থাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে যাতায়াতে কোন ধরনের ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণের ঘটনা ঘটেনা। তাই পর্যটকরা মনের আনন্দে ভ্রমণ করতে পারে। কক্সবাজার থেকে ইনানী ভ্রমণে আসলে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে প্রথমে চোখে পড়ে কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার দরিয়ানগর পার্ক, হিমছড়ি ঝরনা, জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন আহমদের উদ্যোগে সদ্য গড়ে তোলা নিদানীয়া পিকনিক স্পট, বিভিন্ন চিংড়ি উৎপাদনকারী হ্যাচারী ও প্রাকৃতিক পাহাড়। পর্যটকরা ইনানী ভ্রমণে আসলে মনের আনন্দে সাগরের উত্তাল ঢেউ ও নজর কাড়া প্রাকৃতিক পাথরের স্তুপে নির্জনে বসে সময় কাটাতে পারে।