প্রেস বিজ্ঞপ্তি.. গত ১৩ মে টেকনাফ বাজারস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাযের পর সমবেত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে উক্ত মসজিদের খতিব ও টেকনাফ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়ার মুহতামিম মওলানা মুফতী কিফায়তুল্লাহ শফিক বলেন, কোরআন হাদিসের আলোকে ঘূর্নিঝড়, নি¤œচাপও সুনামীসহ সকল বলা মসিবত মানুষের কর্মফল হিসেবে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহর পাপিষ্ট মানুষকে পাপ মুক্ত করে চিরস্থায়ী জান্নাতবাসি করার জন্য সর্তকতা সংকেত হিসেবে এসব বলা মসিবত দিয়ে থাকেন। সকল মুসলমানদের বোঝা দরকার মহা পরিক্রমশীল আল্লাহতায়ালার দেয়া বলা মসিবত মোকাবেলা করার আবিধানিক অর্থ হয় প্রতিরোধ। সর্ব শক্তিমান আল্লাহতায়ালাকে এবং তার কুদরতিকে প্রতিরোধ করা। সুতরাং তিনি সংশ্লিষ্ট শব্দ প্রয়োগকারীদেরকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। মুফতী কিফায়তুল্লাহ শফিক আরো বলেন, যে কোন দূর্যোগ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি আল্লাহতায়ালার কাছে আশ্রয় নিতে হবে। স্বীয় কৃত কর্মের জন্য খাটি মনে লজ্জিত হয়ে আগামীতে আর পাপ না করার পূর্ন ইচ্ছা পোষন করে একাগ্রচিত্তে তার নিকট ক্রন্দন করলে তিনি সকল বিপদ আপদ মুক্ত করে দিবেন বলে কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তিনি সরকার কর্তৃক সর্তককৃত আসন্ন ঘূর্নিঝড়ের ব্যাপারে সমবেত মুসল্লীদের সমম্বয়ে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে তওবা পূর্বক রোনা জারি শুরু করলে পুরো মসজিদে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। মোনাযাত শেষে তিনি সকল মুসলমানকে আল্লাহতায়ালার নিকট আসন্ন আজাব আর গজব থেকে বাচাঁর জন্য বেশি বেশি দোআ-ই-ইউনুছ পড়তে এবং প্রত্যেক মসজিদে প্রয়োজনীয় দোআ ও মোনাযাত অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।