তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আন্দোলনের হুমকিকে পাত্তা দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যে দাবি নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাতে জনগণের সাড়া মিলবে না বলেই মনে করছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা। আর তাই বিএনপির আন্দোলন সামলাতে আপাতত পাল্টা কোন কর্মসূচির কথাও ভাবছে না তারা। তবে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তা কঠোরভাবে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে ক্ষমতাসীনরা।বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে ঈদের পর থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে বলে বেশ আগে থেকেই বলে আসছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এরইমধ্যেই তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছোট মন্ত্রিসভা ও তাতে বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণের আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে।
বিষয়টি বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনায় উঠলেও বিএনপি তাতে সাড়া দিচ্ছে না। দাবি আদায়ে তারা আন্দোলনের বিষয়টিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে এখন।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর বিএনপি আলোচনায় না এসে আন্দোলনের পথ বেছে নিলে তাতে জনগণের সাড়া পাবে না বলেই মনে করছেন তারা।
তারা বলছেন, গত দুই বছর ধরেই বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছে। কিন্তু কোনো আন্দোলনেই তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি।
তাদের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার বিধান রয়েছে। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করে তাতে প্রতিনিধি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাবের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কোনো আন্দোলনেই মানুষ সাড়া দেবে না।
তারা আরও মনে করেন, তাছাড়া বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কথা বললেও তার ছেলে তারেক রহমানকে রক্ষা করাই তাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য। এ কারণে আন্দোলনে বিএনপি সুবিধা করতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “বিএনপি আন্দোলনের কথা যতই বলুক তারা জানে, তাদের আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেবে না। এ দেশের মানুষক তারেককে চায় না।”
“প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর ব্যারিস্টার রফিকুল হকও বিএনপিকে আলোচনায় যেতে বলেছেন” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যিনি অনেক টাকার বিনিময়ে জিয়াউর রহমানকে পঞ্চম সংশোধনী লিখে দিয়েছিলেন, সেই রফিকুল হকও বিএনপিকে আলোচনার আসার তাগিদ দিচ্ছেন।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, জনগণ সম্পৃক্ত হতে পারে এমন কোনো কর্মসূচি বিএনপির নেই। তারা যে বিষয় নিয়ে আন্দোলনের কথা বলছে তাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারবে না। এ কারণেই বিরোধী দলের কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগের মাঠে নামার সুযোগ নেই।”
Leave a Reply