হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম,টেকনাফ***
প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দ্বন্ধের কারণে টেকনাফের হ্নীলা হাইস্কুলের ৬৩ জন শিক্ষার্থী এখনও
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট পায়নি। অথচ আজ ১৯ জুন কলেজে ভর্তি হওয়ার তারিখ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা জীবন নিয়ে আতংকিত শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে ১৮ জুন উক্ত সংকট নিরসনে
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছে। জানা যায়- প্রাধান শিক্ষকের পদ ও
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা নিয়ে টেকনাফ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হ্নীলা হাইস্কুলে
বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গত এসএসসি পরীক্ষায় উক্ত স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে ৬৩ জন
শিক্ষার্থী পাশ করেছে। ফলাফল ঘোষিত হয়েছে অনেক আগে। এতদিনে পাশকৃত শিক্ষার্থীরা পছন্দমত
কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে বিরোধ থাকায় বোর্ড একাডেমিক
ট্রান্সক্রিপ্ট সরবরাহ দেয়নি। ফলে হ্নীলা হাইস্কুলে ৬৩ শিক্ষার্থী এখনও কোন কলেজে ভর্তি হতে
পারেনি বলে জানা গেছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ১৮ জুন দুপুরে
উক্ত ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানায়- প্রধান শিক্ষকের পদ
নিয়ে বিরোধের জের ধরে এখনও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট হাতে না পাওয়ায় তাদের শিক্ষা জীবন
ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদের দাবিদার মোক্তার আহমদ বলেন- একাডেমিক
ট্রান্সক্রিপ্ট কপি আনার জন্য বোর্ডে গিয়েছিলাম। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের
সুপারিশ ছাড়া আমাকে দিতে সম্মত হয়নি। একেবারে শেষ মুহুতেই এসে উপজেলা নির্বাহী
অফিসারের শরনাপন্ন হওয়ায় অভিভাবক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ###########