জেড করিম জিয়া,.টেকনাফ উপজেলায় বর্তমানে মাদক সেবীদের কাছে ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসাবে এনার্জি ড্রিংকস স্থান পেয়েছে। এসব এনার্জি ড্রিংকসের নামে যৌন উত্তেজক নেশা জাতীয় ক্ষতিকর পানীয় পান করে মাদক সেবীরা ফেন্সিডিলের নেশা মিঠিয়ে নিচ্ছে। টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন মাদকের পাশাপাশি এনার্জি ড্রিংকস নামে এ পানীয়টি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টেকনাফের আবাল বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা যৌন উত্তেজক, ক্ষতিকর দিক না জেনে হুযুগে পড়ে এ নেশা জাতীয় পানিটি অনায়াশে ঘিলছে।
সরেজমিনে টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের হাট-বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, বিভিন্ন অলিগলিতে বিশেষ করে বিভিন্ন কুলিং কর্ণার, পান ও মুদি দোকানে প্রকাশ্যে বাহারী নামে থরে থরে সাজিয়ে এসব যৌন উত্তেজক এনার্জি ড্রিংকস বিক্রি করছে। পানীয় গুলো হর্স ফিলিংস্, পাওয়ার হর্স, মন পাওয়ার হর্স, ফিলিং হর্স, রুচিতা পাওয়ার বে¬ক হর্স,পাওয়ার অব, জিংকারাজা, ম্যান পাওয়ার, রেড বোল্ড, একটিভ পাওয়ারও জিনসিন।
টেকনাফে এটিই এখন বেশ জন প্রিয় পানীয় হিসাবে স্থান পেয়েছে আবাল বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। আবার অনেক সাধারণ মানুষ এনার্জি ড্রিংকসের মধ্যে যৌন উত্তেজক ও নেশা জাতীয় উপাদান আছে বিশ্বাসে পান করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ গুলো পান করার পর শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। যারা নিয়মিত এগুলো পান করে তারা আস্তে আস্তে নেশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে। মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এসব পানীয়গুলো নিম্নমানের অ্যালকোহল মিশ্রনে তৈরি হয়ে থাকে। এসব পানীয়গুলো পানে ভবিষ্যতে ক্যান্সার ও কিডনিসহ নানান ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। যার কোন বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদন নেই। বর্তমানে টেকনাফে ফেন্সিডিল সিরাপ দুর্লভ হওয়ায় এ নিম্নমানের পানীয়টি পান করে ফেন্সিডিলের চাহিদা মিঠিয়ে নিচ্ছে। কলেজ ছাত্র ইসলাম এবং হুমায়ুন জানান, এনাজিং ড্রিংকস পান করলে শরীরে অন্যরকম অনুভুতি জাগে। পরে জানতে পেরেছি এতে এ্যালকোহল আছে। এর পর থেকে আমি এসব পানীয় পান করিনা। তবে পথে ঘাটে অনেকেই দেখি খুব তৃপ্তির সাথে এসব এনার্জি ড্রিংকস পান করতে। হুমায়ুনের মত এসব যৌন উত্তেজক পানীয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসন তৎপর হলেই আগামী প্রজন্ম এর অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।
টেকনাফ বাজারের এনার্জি ড্রিংকস এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ পানীয়গুলো যদি উত্তেজক কিংবা ক্ষতিকর হত প্রশাসনের কোন তোড়জোড় না কেন? দামী ব্রান্ডের চেয়ে এগুলো মুনাফা ও চাহিদা বেশি থাকায় এগুলো বিক্রি করছি।
সদ্য কর্মস্থলে যোগ দেয়া টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুল ইসলাম জানান, অতি শীঘ্রই এসব মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নিম্নমানের পানীয়গুলোর বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে।
muslims ummah ke dhongsho korar lokkhe atao akta shorhjontro.
Congratulations to Respectable reporters for taking the pen against that.