গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি, যিনি আগের সাংসদ তানজিম আহমেদ সোহেল তাজেরই বড় বোন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসান্জুামান রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে এ আসনের ১০২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এতে রিমি পেয়েছেন ৬৩৪০১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার উদ্দিন আহমদ খান পেয়েছেন ২৬৩৪৯ ও আসাদুল¬াহ বাদল ১৪২৮।
এ নির্বাচনে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৮৪ জন ভোটারের মধ্যে মোট ভোট পড়েছে ৯১ হাজার ৭৯৬। এর মধ্যে বৈধ ভোট ৯১ হাজার ১৭৮, ভোট বাতিল হয়েছে ৬১৮টি।
এ হিসেবে ৪৩ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলেও জানান হাসানুজ্জামান।
সব কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হলেও সোমবার সকাল ১০টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি ফল ঘোষণা করবেন।
হাসানুজ্জামান বলেন, “এরপরই তার স্বাক্ষরিত ফল সবাইকে সরবরাহ করা হবে।” এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফসার উদ্দিনের সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানান তিনি।
জয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিমিন হোসেন রিমি বলেন, “যারা জিততে পারেনি তারাও আমাদেরই অংশ। আমি সবাইকে সাথে নিয়েই কাজ করব।”
কাপাসিয়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। আমার দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে গেল। যারা আমাকে ভোট দেয়নি তাদের প্রতি বৈরী আচরণ করা যাবে না। সবাইকে সাথে নিয়েই কাজ করতে চাই।”
পিতার আসনে বিজয়ী হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন তাজউদ্দীনকন্যা।
রিমির বিরুদ্ধে তার চাচা আফসার উদ্দিনের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “তিনি তো শুরু থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ করছিলেন, শেষও করলেন অভিযোগ দিয়েই।”
তবে কাপাসিয়াবাসীর প্রতি ‘দায়িত্বশীল’ আচরণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান রিমি।
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের পদত্যাগে শূন্য এই আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েন তারই বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মোরগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তার চাচা এবং সাবেক সংসদ সদস্য আফসার উদ্দিন আহমদ খান। এ ছাড়া কাস্তে প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়েন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মো. আসাদুল্লাহ বাদল।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফল মেনে নেয়ার আগাম ঘোষণা দিলেও ভোট শেষের কিছুক্ষণ আগে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন আফসার উদ্দিন। এর জবাবে রিমির পক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিটির প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তার (আফসারের) প্রত্যাখ্যানের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার উদ্দিন আহমদ খানের ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “এটি আফসার উদ্দিনের নিজস্ব অভিমত।”
উপনির্বাচনে প্রধানবিরোধী দলের অংশ না নেয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Leave a Reply