এম. কফিল উদ্দিন…পেকুয়া উপজেলার মগনামা কাটাফাঁিড় ভাঙ্গা বেইলী ব্রীজটি ৬ দিনেও সংস্কার করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার লবন, মৎস্যখাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি পেকুয়া উপজেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে দেওয়া বাশের সাকোঁটি থেকে যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় গুটিকয়েক নেতা সাকোঁ পার হওয়ার সময় জনসাধারনের কাছ চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগও উঠেছে। যারপ্রেক্ষিতে পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ২লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। জানা যায়, গত ৬সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় মগনামাগামী অতিরিক্ত পাথর বোঝাই একটি ট্রাক বেইলী ব্রীজটি পার হওয়ার সময় ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে ব্রীজটি খালে পড়ে যায়। ব্রীজটি ৬দিন পার হয়ে গেলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ) তা সংস্কার করতে পারেনি। ফলে পেকুয়া-কুতুবদিয়া উপজেলার লবন ও মৎস্যখাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লবন ও মাছ বাইরে পরিবহন করতে না পারায় অর্থনীতিতে বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে। কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং এলাকার লবন ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন জানান, গেল বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন পেকুয়া কাটাফাড়িঁ ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় পরিবহনকালে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। মগনামার ফুলতলা এলাকার রিয়াজউদ্দিন জানান, অস্থায়ী বাশের সাকোটি খুবই নড়বড়ে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। লক্ষাধিকের উপরে মানুষ দৈনিক যাতায়াত করছে ওই নড়বড়ে সাকোঁটি দিয়ে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা দৈনিক বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করছে। এতে পূর্বের চেয়ে খরচ বেশি গুনতে হচ্ছে। এদিকে সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সাকোঁটি পার হওয়ার সময় কোন মালামাল পার করলে চাদাঁ দিতে হচ্ছে স্থানীয় গুটিকয়েক যুবলীগ নেতাদেরকে। তাদের দাবী করা চাদাঁ দিতে না পারলে নানা সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে জনসাধারনকে। পণ্য ও বিভিন্ন মালামাল পার করাকালীন জন প্রতি ২০থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করছে তারা। জন সাধারন নিরুপায় হয়ে তাদের কাছে তাদের চাহিদামত চাদাঁ মিটিয়ে নিরাপদে বড়ি ফিরছে। কাটাফাড়িঁ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, বেইলী ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে মানুষের দূর্বোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেছে। পাশাপাশি নড়বড়ে সাকোঁটি পার হওয়ার সময় যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম চৌধরী জানান, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি ভাঙ্গা ব্রীজটি সংস্কারের পাশাপাশি অর্ধ নির্মিত ‘সমুদ্র সরনী” নামক ব্রীজটি নির্মানের জোর আবেদন জানিয়েছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) চকরিয়া শাখা জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত পাটাতন খোজাঁ হচ্ছে। পাওয়া গেলে অতিস্বত্তর কাজ শুরু করা হবে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে খাজাঁ আল আমীন জানান, জন ও যান চলাচলের উপযোগী করে তোলতে ব্রীজটি সংস্কারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।
এম, কফিল উদ্দিন
পেকুয়া
মোবাইল: ০১৮১৫-৩৬৩৮০৮/০১৬৭৬-২৫৩৮৪৬
তাং: ১৩,০৯,২০১২
Leave a Reply