আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ/
অদক্ষ চালক ও যাত্রীদের অসচেতনতায় সড়ক দূর্ঘটনার মূল কারন। অদক্ষ চালকরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধান সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে চাঁদের গাড়ী (জীপ), মাইক্রো হায়েছ, সিএনজি-মাহিন্দ্রা নামে অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন প্রকার যাত্রী বহনকারী গাড়ী। এতে করে প্রতিদিন অহরহ দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দেশের আনাচে-কানাছে এবং সর্বস্তরে যখন “নিরাপদ সড়ক চাই” রব উঠেছে তখন অপরদিকে গাড়ীর মালিকগণ অনিরাপদ বা অদক্ষ চালকদের হাতে গাড়ী তুলে দিচ্ছে। তাতে সড়ক দূর্ঘটনার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দূর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর খবর খবরের কাগজে শোভা পাচ্ছে। তার মূল কারণ অদক্ষ চালক এবং যাত্রীদের অসচেতনতা। তাছাড়া গাড়ীতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনও অন্যতম কারণ। অদক্ষ গাড়ী চালক ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে দেশে আইন থাকলেও তা কোথাও যথাযথ কার্যকর না হওয়ায় প্রতিদিন দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। মাঝে মধ্যে প্রধান সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা গেলেও তাদের নিজেদের পকেট ভারী করে চলে যেতে দেখা যায়। কোন গাড়ী বা চালকদের জরিমানার হার তেমন দেখা যায়না। সেক্ষেত্রে চালকগণ অতিমাত্রায় উৎসাহিত হয়ে গাড়ীতে ওভারলোড বা অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করে। আর ঝুঁকিতে থাকতে হয় সাধারন যাত্রীদের। এছাড়া অনেক সময়ে দ্রুত গতিতে গাড়ী চালিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। কবে ফিরবে তাদের আদরের সন্তান। কোন সড়ক দূর্ঘটনা হয়নি তো। যতক্ষন না ফিরবেন ততক্ষন শুধু খবর নিতে দেখা গেছে অনেক অভিভাবকদের। কারণ অনিরাপদ সড়ক ও অদক্ষ চালকের জন্যে যত্রতত্র গাড়ী দূর্ঘটনা। সচেতনমহল মনে করেন সূষ্টু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অনেকাংশে কমানো যেতে পারে সড়ক দূর্ঘটনা। এছাড়া চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাস ষ্টেশন, বাজার ও পাবরিক সেক্টরে মাইকিং এবং লিপলেটসহ বিভিন্ন প্রচারনা জরুরী বলে মনে করেন ভূক্তভোগী সচেতন যাত্রীগণ।