প্রেস বিজ্ঞপ্তি………গত ১৮ আগষ্ট স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজার,আজকের কক্সবাজার,দৈনিক সৈকত ও সমুদ্রকন্ঠসহ একাধিক সংবাদ পত্রে প্রচারিত উক্ত শিরেনামের সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে শিক্ষকদের পরিবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। আমরা মনে করি বর্তমানে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনাধীন স্কুলটি নিয়ে আবারো নতুন করে চর্তুমুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে । এ ব্যাপারে স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতনমহলকে সোচচার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি- সিরাজুল ইসলাম সিকদার, প্রধান শিক্ষক, মোক্তার আহমদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম ।
এই স্কুল নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রকৃত কারণ হল- মোঃ ইউছুপ, মোঃ মোস্তফা কামাল এবং আবুল হোছাইন ফেরদৌসী সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক অভিযোগ, সনদ গরমিল, ইভটিজিং, উত্তরপত্র জালিয়াতি সহ নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে অপরাপর কয়েকজন শিক্ষককে পেশীশক্তির জোরে জিম্মি করে চাকুরী বিধি লংঘন করে মোঃ ইউছুপ নিজেকে স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবী করে বিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনুমোদিত কমিটির বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষক/ছাত্রদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করে অসদাচরণ করতে থাকেন। ২০১২ শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারী মাস হতে ১০/০৭/২০১২ খ্রি: তারিখ পর্যন্ত ভর্তি, সেশন, মাসিক বেতন, স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট ফিস, ১ম সাময়িক পরীক্ষার ফিস এবং জে.এস.সি. রেজি: ফিস বাবদ সর্বমোট ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪শ ৫ টাকা শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায় করে বিধি মোতাবেক আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তাকে হিসাব ও জমা না দিয়ে আত্মসাতের মানসে কুক্ষিগত করে রাখেন। শুধু তাই না একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেতন ভোগী শিক্ষক হয়ে সে প্রতিষ্ঠানের নামে এখতিয়ার বহি:র্ভূতভাবে মামলা দায়ের করে শিক্ষা কার্যক্রমসহ যাবতীয় পরিবেশকে বিনষ্ট করে। শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায়কৃত টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে হিসাব ও জমাদানের জন্য বার বার নোটিশ ইস্যু করা হলেও তা অবজ্ঞা-অবহেলা করে অসদাচারণসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে থাকে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে উত্তোলিত টাকার হিসাব ও জমাদানের শর্তে গত ২৬/০৪/২০১২ খ্রি: সরকার প্রদত্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। পরবর্তী এপ্রিল ২০১২ মাসের বিল প্রস্তুত করে স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করা হলে বিলে স্বাক্ষর প্রদান থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। গত ১৪/০৫/২০১২ খ্রি: তারিখের পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্তে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের টাকা উদ্ধারের নিমিত্তে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের সুপরিশ করা হলে উক্ত তিনজন সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মাননীয় স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালত কক্সবাজারে দুর্নীতি মামলা রুজু করা হয়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অথবা টাকার হিসাব ও জমা না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন- ভাতা আপতত: স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তা নোটিশ আকারে প্রচারও করা হয়। উক্ত ৭ জনের মধ্যে হতে একজন শিক্ষক তার হিসাব ও টাকা কর্তৃপক্ষ বরাবরে শর্তের আলোকে জমা প্রদান করেন অন্যান্যদেরকেও শর্তের আলোকে বেতন-ভাতা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৯/০৭/২০১২ খ্রি: তারিখে বিল প্রস্তুত করত: অর্থ বছরের বেতন-ভাতা উত্তোলনের নিমিত্তে বিধি অনুযায়ী স্ব-স্ব শিক্ষক/কর্মচারী এবং পরিচালনা কমিটি স্বাক্ষরকৃত অংঙ্গীকার নামা ৩০০/- টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প মহাপরিচালক, ঢাকা বরাবরে প্রদান করার লক্ষ্যে প্রস্তুত পূর্বক নোটিশসহ সম্মানিত শিক্ষক বরাবরে উপস্থাপন করা হলে তাতে স্বাক্ষর করতে অংগীকার নামা প্রদান করতে অস্বীকার ও অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। এমতাবস্থায় কতিপয় শিক্ষক স্বাক্ষর না করায় অন্যান্য সকল শিক্ষক কর্মচারীর স্বাক্ষর ও অঙ্গীকার নামার আলোকে বেতন ভাতা উত্তোলনের জন্য জনতা ব্যাংক বরাবরে অগ্রায়ণ করা হয়। জনতা ব্যাংক টেকনাফ শাখা কর্তৃক বিধি অনুযায়ী বিল ও অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষরকারীদের বেতন ভাতা বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য যেসব শিক্ষক বেতন, বিলে ও অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেনি তাঁরা সকলেই জনতা ব্যাংক টেকনাফ শাখায় ঋণ খেলাপী। মাসিক মোট বেতন ভাতার যাহা প্রাপ্য তাঁর তিন ভাগের দুই ভাগ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের কিস্তি কর্তন করেন বিধায় বাদ বাকী টাকা কয়েক মাস পরে উত্তোলন করেন। এখানে লক্ষণীয় যে, স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবীদার এবং কথিত শিক্ষক কাউন্সিলের সেক্রেটারী যথাক্রমে- মোঃ ইউছুপ, মোঃ মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত শ্রেণী শিক্ষকদের কে জিম্মি করে বিভিন্ন কৌশলে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪শ ৫ টাকা আত্মসাত করে কুক্ষিগত করে রাখেন। যাহা তদন্ত রিপোর্টে প্রতীয়মান হয়। তাদের এ অপকর্মকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্রের নতুন পথ হিসেবে এ সময়টাকে বেঁচে নিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এমতাবস্থায় সম্মানিত সংবাদকর্মী ভাইয়েরা প্রকাশিত পত্রিকার সংবাদে সহকারী প্রধান শিক্ষক এর উদ্ধৃতি দিয়ে যে সংবাদ প্রচার করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ এসব দৈনিক পত্রিকার সম্মানিত প্রতিনিধির সাথে এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ ও কথা হয়নি। আমরা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ প্রেরণকারী সম্মানিত প্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ ও শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই- আপনারা জাতির দর্পন, সত্যকে সত্য হিসেবে প্রচার করুণ জাতির কল্যাণে, সত্য উদঘাটন করুন জাতি উপকৃত হবে। কোন ধরনের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ না করে সংবাদ প্রচার করা কারো কাম্য নয়। কারণ আপনাদের অনিচ্ছাকৃত লেখনি জাতি বিভ্রান্ত হবে, রাষ্ট্র যন্ত্র অচল হবে, সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে, সম্প্রীতি বন্ধন তিরোধানে যাবে। ######
প্রতিবাদ ও বিবৃতিদানকারী
মোক্তার আহমদ
প্রধান শিক্ষক
মুহাম্মদ আবদুস সালাম
০১৮৩০-১৬৮৮৮৯
সহকারী প্রধান শিক্ষক
হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়। সিরাজুল ইসলাম সিকদার
০১৮২৩-৯৬৬৬০০
সভাপতি
হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়।
Leave a Reply