হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ।::::টেকনাফ ৪২বিজিবির ইয়াবা বিরোধী অভিযানে হ্নীলা বিওপি ক্যাম্পের একটি ইয়াবা মামলায় নিরীহ ১কাঠমিস্ত্রীকে আসামী করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উক্ত আসামী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা,বিজিবি উর্ধ্বতন কর্তৃপসহ দেশবাসীর নিকট মিথ্যা মামলায় হয়রানির বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সহায়তা কামনা করেছেন।১৯জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় নিজবাড়িতে বিজিবির মিথ্যা ইয়াবা মামলায় শিকার মোঃ রফিক মিস্ত্রী লিখিত বক্তব্যে জানান-গত ১৭জুলাই টেকনাফ ৪২বিজিবি ব্যাটেলিয়নের হ্নীলা বিওপি ক্যাম্পের ১৩হাজার ৬শ ৫৬পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলায় পূর্ব সিকদার পাড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আলমের পুত্র মোঃ রফিক মিস্ত্রীকে ২নং আসামী করা হয়েছে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই ইয়াবাসহ যাবতীয় দেশদ্রোহী কর্মকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদপে নেওয়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। কিন্তু এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কারো প্ররোচনায় অথবা অজান্তে কোন নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানির শিকার হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।আমি অতীব দুঃখের সঙ্গে বলছি আমার সীমান্তরী ভাইয়েরা সীমান্ত অপরাধ দমনে সদা সক্রিয় থাকেন। এরই মধ্যেও কিছু সীমান্ত অপরাধ রহস্যজনক কারনে জিইয়ে থাকে। কিন্তু হ্নীলা বিজিবির সদ্য দায়েরকৃত ইয়াবা পাচার মামলায় আমার নাম দেখে থমকে গেছি। এর আগেও হ্নীলা বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার তোঁতা মিয়া একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় আমার মেয়ের বাড়িতে একে একে ৩বার গিয়ে তল্লাশীর নামে দরজার তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। সুতরাং এই মামলায় আমি কোন ধরনের জড়িত ছিলাম কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য থানা পুলিশ, বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সদস্য সমুহের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি। আপনারা তদন্ত করে যদি আমি ইয়াবা জাতীয় ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে থাকি তাহলে আমি স্বেচ্ছায় হাজত বাস করব। যদি নির্দোষ হয়ে থাকি তাহলে আমার মত সাধারন মানুষকে কেন মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে থাকতে হবে তা দেশবাসীর নিকট জানতে চাই। সুতরাং উক্ত বিষয়টি তদন্ত স্বাপেে যথাযথ পদপে গ্রহণের জন্য আমি সংবাদকর্মী ভাইদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ সমুহকে পদপে গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।
######################################################################