জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ /
টেকনাফের হ্নীলায় চাষের ধান দেখতে গিয়ে বিবাদমান প্রতিপক্ষ গ্র“পের হাতে অপর পক্ষ হামলার শিকার হয়েছে। প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্তাসী দিয়ে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ করায় ৯জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়-৭নভেম্বর সকাল-১০টারদিকে সীমান্ত জনপদ টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গীখালী এলাকার কবির আহমদের পুত্র ও শফিক আহমদ মেম্বারের ভাই বেলাল উদ্দিন জুম্মাপাড়া এলাকায় চাষাবাদকৃত ধান দেখতে গেলে হঠাৎ করে স্বশস্ত্র অবস্থায় লুকিয়ে থাকা স্থানীয় আব্দুল মজিদ প্রকাশ ভুলাইয়া বৈদ্যের ছেলে শাহজালাল, আবুল আলম,শাহ আলম,ছৈয়দ আলম, ছাবের আহমদ প্রকাশ পুইন্যার পুত্র ছৈয়দুর রহমান ছৈয়দ্যা, নুরুল আমিন,উদিল আমিন,আব্দুল্লাহ, ইসমাঈল মাষ্টারের পুত্র মোঃ সোলেমান প্রকাশ দেওয়ানসহ মহেশখালী-চকরিয়া থেকে আনা ভাড়াটে সন্তাসীরা মিলে বেলালকে অপহরণ করে প্রাণে মারার জন্য ধাওয়া করে। বেলাল নিরুপায় হয়ে স্থানীয় মৃত মোজাহার মিয়ার পুত্র ছৈয়দ হোছন (২৮) এর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে গিয়ে মারতে না পেরে বসত-বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এরপর হুমায়ুন ও জয়নাল তাদের বাঁধা দিতে গেলে বেপরোয়া ৪রাউন্ড ছরকা গুলিবর্ষন করে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ছাবিয়া ও ছৈয়দ আলম জানান। এতে কবির আহমদের পুত্র হুমায়ুন (১৮), মৃত আশরফ আলীর পুত্র গুরা মিয়া (৩৫), নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ হোছন(২২), নজির আহমদের পুত্র মিজানুর রহমান কালু, মৃত জালাল উদ্দীনের পুত্র নুরুল আলম (২৪), পেঠান আলীর পুত্র মোঃ নুর(৩৫), ফরিদ আহমদের পুত্র সরওয়ার(১৮), রিদুয়ানের শিশু পুত্র রাসেল (৮) ও মৃত মোজার মিয়ার পুত্র ছৈয়দ হোছন আহত হয়েছে। এরপর লোকজন জড়ো হলে সন্তাসীরা গুলিবর্ষণ করতে করতে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে হুমায়ুন ও গুরা মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। তাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ও চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে শফিক আহমদ মেম্বার সন্ত্র—াসীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চালাচেছ।
Leave a Reply