রমজান উদ্দিন পটল… টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শিক্ষা-দীক্ষা ও উন্নয়ন বঞ্চিত গ্রামের নাম নাটমোরা পাড়া। এলাকার সাধারন মানুষের ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় ও আধূনিক শিক্ষায় যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা মাদ্রাসা ক্বাব বিন মালেক (রাঃ) আল্-ইসলামিয়া এতিম ও হেফজখানা এবং নিম্ম মাধ্যমিক শাখার ২শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়-স্থানীয় মৌলভী ফকির মোহাম্মদের ছেলে আলহাজ্ব মাওলানা তারেক বিন ফকির স্থানীয় গরীব জনসাধারনের ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় ও আধূনিক শিক্ষায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৩সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী, দানবীর,জনপ্রতিনিধি ও সচেতনমহলের সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করেন মাদ্রাসা ক্বাববিন মালেক (রাঃ) আল ইসলামিয়া ফকিরাবাদ মাদ্রাসা। দীর্ঘ ১০ বছরের বন্ধুর পথ পেরিয়ে আজকে এই মাদ্রাসাটি হাজারো এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তায় আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক মুফতি মাহবুর রহমান জানান-শুরু থেকে ২০/২৫জন শিক্ষার্থী নিয়ে এ মাদ্রাসার যাত্রা হলেও সচেতন এলাকাবাসী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আন্তরিক সহায়তার ফলে শিক্ষা-দীক্ষায় পিচিয়ে থাকা গ্রামটি আজ শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। সুদক্ষ পরিচালনা পরিষদ এতিম ছেলে-মেয়েদের বিনা মূল্যে খাওয়া, থাকা, বই-পুস্তক ফ্রি দিয়ে সহায়তা করে আসছে। আমরা ধর্মীয় ও আধূনিক জামায়াতে হাস্তুম (সপ্তম শ্রেণী) পর্যন্ত ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সিলেবাস অনুকরনে পাঠদানে অত্র মাদ্রাসার ৯শিক্ষক সচেষ্ট রয়েছি বিধায় আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সবচেয়ে সুখবর হচেছ আসন্ন জেডিসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের ১৫ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার বিষয়টি ।
আমরা আশাকরি অত্র ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষা অধিকার বঞ্চিত শিশুদের অভিভাবকসহ সবার আন্তরিক সহায়তা অব্যাহত থাকলে আমরা স্থানীয় গন্ডির সীমানা পেরিয়ে বাহিরে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply