সেলিমুল্লাহ, হ্নীলা। টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের অতি-দরিদ্র ও অন্ধ মনসুর পরিবারের মেয়েরা চৌধুরী বাড়িতে নিয়মিত ঝিয়ের কাজ না করার অপরাধে নিষেধ সত্বেও চৌধুরী পরিবারের জমির উপর দিয়ে যাতায়াত করার অপরাধে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর মনসুরের মৃত্যু হলে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম করে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পোস্টমর্টেম শেষে হতভাগা অসহায় গরীব মনসুরকে পরিবারের সদস্যদের বুকফাটা কান্নায় চির বিদায় নিতে হয়েছে।
১১সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আমতলী গোরস্থানে নিহত মনসুর আলীর জানাজা সম্পন্ন হয়। উক্ত জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ-গ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়-সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর পরিবারে মনসুরের এক মেয়ে কাজের মেয়ে হিসেবে ছিল । তার ভাল না লাগায় সে চলে যায়। ক্ষুদ্ধ হয়ে চৌধুরী পরিবারের লোকজন তাদের জমির উপর দিয়ে চলাচল না করার জন্য বললে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ঐদিন চিকিৎসার জন্য মনসুর দম্পতি বাজারে আসার পথে চৌধুরী বাড়িতে ঢুকে পড়লে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বাড়িতে গিয়ে মনসুর আলী সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করলে সবর্ত্রে হৈ ছৈ সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে রাত ৭.২০টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ মুর্হুতে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে তাকে দাফনের পর পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান- পোস্টমর্টেমের পুরো রিপোর্ট আসতে ১৫/২০দিন সময় লাগতে পারে। তখন বুঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য কি! তবে এরই মধ্যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট উলট-পালট হতে পারে বলে নিহতের আতœীয়-স্বজন আশংকা করছে।
Leave a Reply