জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আহ্বান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল। মন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে প্রবীণ এ নেতা বলেছেন, জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও প্রশাসন রয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে জামায়াত-শিবির প্রতিহত করতে বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আহ্বান করা হয়েছে। প্রশাসন থাকতে এভাবে কাউকে কল (ডাক দেয়া) করাটা রাজনৈতিক বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জামায়াত-শিবিরকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নয়। বরং, মানুষের কাছে গিয়ে গণজাগরণ সৃষ্টি করে তাদের প্রতিহত করতে হবে। মানুষকে জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ড ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সদ্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবুর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য জলিল বলেন, এ বিচার বন্ধের শক্তি কারও নেই। এ বিচার হবেই। খালেদা জিয়া তারেকের মতো একজন দুর্নীতিবাজের প্রশংসা করলেই ‘পরিষ্কার’ হয়ে যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেকের দুর্নীতি ও খালেদা সরকারের হাওয়া ভবন সম্পর্কে জনগণ জানে। খালেদা জিয়া যতই বলুন না কেন তা জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ড ও বর্তমান সরকারের সফলতার কথা বিবেচনায় জনগণ কাকে সুযোগ দেবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তারেক দুর্নীতির মামলার গ্রেপ্তার এড়াতে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া তারেক রহমানকে যতই সৎ বলুন না কেন যখনই তিনি সততার সার্টিফিকেট দেন জনগণের মনে পড়ে যায় হাওয়া ভবনের কথা। তাই সার্টিফিকেট দিয়ে তারেক রহমানের কলঙ্ক ঘোচানো যাবে না।
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উপদেষ্টা লায়ন মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, কৃষকলীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply