রামুর মতো ঘটনা এড়াতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করতে কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে উগ্রপন্থীদের হামলার এক সপ্তাহ পর সোমবার কক্সবাজার যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী ডাক বাংলোয় জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শেখ হাসিনা।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাদের কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে তাতে সব ধর্মের মানুষের সম্মিলন ঘটানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রামুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় নেতারা জানালে সে জন্য শেখ হাসিনা তাদের অভিনন্দন জানান।
পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য দলের নেতাদের সতর্ক থাকতেও বলেন তিনি।
রামুর হামলা নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা বললেন, ‘আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে’। ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় তারা পারদর্শী।”
বৌদ্ধ বিহারে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সভার শুরুতে ২৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর সামনে তুলে ধরেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রামুর উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সারোয়ার কাজল।
তিনি বলেন, “আমরা যখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে নিয়ে এসেছিলাম, তখন বিএনপির স্থানীয় সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল এলেন।
“তিনি এসে আমাদের মঞ্চে উঠলেন এবং উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বললেন, ‘আমি রাজনীতি করতে আসিনি। আমি আপনাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে এসেছি’। এরপর তিনি চলে গেলেন। তারপরই দেখতে পেলাম পূর্ব দিকের আকাশ লাল।”
সভায় কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহম্মদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা জাসদের সভাপতি নাইমুল হক টুটুল এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা হাজী বশিরুল আলমও বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply