হারুনররশিদহারুন(কক্রবাজার)মহেশখালী,…বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ করে মাছের আকাল দেখা দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া ফিশিং বোটগুলো ফিরে আসছে। শতাধিক বোট কক্সবাজার শহরের ফিশারী ঘাটও মাঝের ঘাটসহ আশপাশ এলাকায় নোঙ্গর করেছে। এতে করে বোটের মালিকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা। এছাড়া হাজার হাজার মাঝি মাল্লারা পড়ে গেছে চরম বেকায়দায়। বোট মালিকদের দাবী সাগরে ব্যাপক হারে ট্রলিং জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাদার ফিসসহ ব্যাপকহারে ঝাটকা নিধন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার উপকুলীয় এলাকা কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন ৪ হাজার ছোট বড় ফিশিং বোট সাগরে মাছ শিকারে যায়। এ কাজে জড়িত রয়েছে প্রায় ৬০/৭০ হাজার মাঝি মাল া। জীবন জীবিকার তাগিদে এরা ছুটে যায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে। যাওয়ার সময় এক একটি ফিশিং বোটে ৭-১০ দিনের জন্য ৫০-৬০ হাজার টাকার চাল, ডাল, তেলসহ রসদপত্র নিয়ে যায়। সাগরে মাছ শিকারের পর এরা ফিরে আসে কক্সবাজার শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ফিশারীঘাট (পল্টন) এলাকায়। শতশত বোট প্রতিদিন এখানে নোঙ্গর করে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পল্টনেই বেচা বিক্রি করে আসছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা পল্টনে আগের মতো নেই ব্যবসায়ীদের কোলাহল নেই। মাছ ক্রেতা বিক্রেতাদেরও ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে না।মাঝি আবদুর রহিম,আমিন উল াহ জানায়, গত ১পক্ষকাল ধরে বলতে গেলে সাগরে মাছের আকাল চলছে। যেখানে একটি বোট দুই থেকে ৩/৪ লাখ টাকার মাছ শিকার করতো বর্তমানে সেখানে ৮/১০ হাজার টাকার ঝাটকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। গতকাল ১৬ জুলাই ফিশারীঘাট এলাকায় এ ধরণের শতাধিক ফিশিংবোট ফিরে এসে নোঙ্গর করেছে। মাঝিমাল াদের বিমর্ষ চেহারা আর মালিকদের হতাশায় বর্তমানে বিরাজ করছে নিরব দূর্ভীক্ষ। সেই সাথে ফড়িয়া ও দাদন ব্যবসায়ীদের উৎপাতও কমে গেছে।মাঝিমাল া সূত্র জানান, বর্তমানে সাগরে ব্যাপকহাওে দেশী বিদেশী ট্রলিং জাল ও কারেন্ট জালের ব্যবহার আশংকা জনক হারে বেড়ে যাওয়ায় মা মাছ ও ঝাটকা নিধন হচ্ছে ব্যাপক হারে। এছাড়া বর্তমানে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চাপ্পা নামের থাইল্যান্ডের তৈরী এক ধরণের জাল। এ জাল দিয়ে সাগরে ট্রলিং কাজ নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের চেয়ে ভয়াবহ বলে জানান।ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান জানান, অন্যান্য বছরের মতো এ ধরণের সমুদ্রে মাছের আকাল দেখিনি। সাগরে মা ও ঝাটকা নিধনের কারণে এ ধরণের হয়েছে বলে তার দাবী। মৎস্য ব্যবসায়ী ,শফিউল আলম বাঁিশ,মোহাম্মদ হোছন, করিম, হাবিব, আব্দুল া আল মাসুদ আজাদ, মনিরুল আলমসহ এদেও মতো অনেক ব্যবসায়ী জানান, সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার পূর্বে বিভিন্ন দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কড়া সুদে টাকা নিয়ে সমুদ্রে পাঠানোর পর খালি বোটে ফিরে আসায় তারা চরম বেকায়দায় পড়ে গেছে। মাছ শিকারে জড়িত হাজার হাজার মাঝি মাল া বেকার হয়ে পড়েছে। তাদের সংসারে নেমে এসেছে দুর্দিন। মৎস্যজীবীদের দাবী পরিবেশ বিধ্বংসি কারেন্ট, ট্রলিং ও চাপ্পা জাল সাগরে একেবারেই ব্যবহার নিষিদ্ধসহ কড়াকড়ি করা না হলে সাগর মৎস্য শূন্য হয়ে যাবে। বেকার হয়ে পড়বে হাজার হাজার শ্রমিক।
হারুনররশিদহারুন(কক্রবাজার)মহেশখালী,১৬জুলাই/১২
০১৮৪৩৭২০১২০
Leave a Reply