“আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সরকারের স্বৈরাচারী মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে,” এক বিবৃতিতে বলেছেন তিনি।
হেফাজত অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পুলিশ আদিলকে গ্রেপ্তারের পর বিরোধীদলীয় নেতা এই বিবৃতি দেন।
চারদলীয় জোট সরকার আমলের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, “ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতির বিষয়টি নিয়ে যারা সোচ্চার হচ্ছেন, এখন তাদের ওপর সরকারের খড়গ নেমে এসেছে। এই (আদিলকে গ্রেপ্তার) ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত।”
হেফাজতবিরোধী মতিঝিল অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে আদিলকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের তুলতে গত ৫ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে অধিকার এনিয়ে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
মতিঝিলে গণহত্যা চালানো হয়েছিল বলে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দাবি করলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই অভিযানে কেউ মারা যাননি।
আদিলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের অন্য দলগুলোও বিবৃতি দিয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে এর সর্বশেষ নজির হিসেবে আদিলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেন খালেদা জিয়া।
“এই সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। হত্যা-গুম করে তারা বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে চায়। মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশকে সরকার গলা টিপে ধরছে। নির্যাতনের ছোবল থেকে মানবাধিকার কর্মীরাও আজ রক্ষা পাচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতির অবস্থা যখন দেশে-বিদেশে প্রকাশ পাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে অধিকারের মতো একটি মানবাধিকার সংস্থার সেক্রেটারিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার তার নীলনকশা নিয়ে এগুচ্ছে।”
আমার দেশ পত্রিকাসহ ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি বন্ধের কথাও বিবৃতিতে বলেন বিরোধী নেতা।