বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮ ১০:১১ অপরাহ্ন
2152 বার এই নিউজটি পড়া হয়েছে
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ … জাতীয় শ্রমিকলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার মিয়া কুংফুকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে স্ত্রী রুবী চৌধুরী টেকনাফে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে তাঁর স্বামী জাতীয় শ্রমিকলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার মিয়া কুংফুকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হয়েছে বলে দাবী করেছেন দিদার মিয়া কুংফু’র স্ত্রী রুবি চৌধুরী। ১৮ জানুয়ারী বিকালে টেকনাফের একটি কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী করেন। সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে দিদার মিয়া কুংফু’র মা নুরুমা খাতুন, স্থানীয় মুরুব্বী মো: ইউনুছ, ভাই হারেছ মিয়া ও ফেরদৌস মিয়া, বোন ছেনুয়ারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ‘দিদার মিয়া কুংফু একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। কোনদিন সমাজ বা রাষ্ট্রবিরোধী কার্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না। তিনি সুনামের সহিত গত দুই বছর আগে থেকে জাতীয় শ্রমিকলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে মরণনেশা ইয়াবা বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসাবে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যা তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ‘দিদার মিয়া কুংফু’ তদন্ত করলে দেখা যাবে। আমার স্বামী একজন মুদির দোকানদার ব্যবসায়ী। তিনি চট্টগ্রাম শহরে কালুরঘাট সিএমপি বরিশাল বাজারে ৮ বছর আগে থেকে একটি মুদির দোকান করে আসছেন। দোকানে মোঃ রুবেল (২২) নামে বান্দরবানের একটি ছেলেকে দোকানের কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। গত ২ বছর আগে আমার স্বামী টেকনাফে এসে জাতীয় শ্রমিকলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন টেকনাফে অবস্থান করার কারণে দোকানের কর্মচারী মোঃ রুবেলকে দোকানের দায়িত্ব প্রদান করেন। এসুযোগে অপরের সম্পদ লোভী মোঃ রুবেল আমাদের দোকানের নগদ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে বান্দরবানে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে। দীর্ঘদিন তার খোঁজ না পেয়ে আমার স্বামী বান্দরবানে মোঃ রুবেলের মায়ের সাথে দেখা করতে যান। এসময় তার বৃদ্ধা মা বলেন আমি আমার ছেলের সাথে যোগযোগ করে আত্মসাৎকৃত টাকাগুলো ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এর কয়েক মাস পরে একদিন চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট মোড়ে আমার স্বামী মোঃ রুবেলের সন্ধান পান। সেই থেকে অনেক দিন পর্যন্ত ফোনে মোঃ রুবেলের সাথে আমার স্বামীর যোগাযোগ ছিল। উক্ত যোগাযোগের প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১২ জানুয়ারী আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে মোঃ রুবেল ও তার মা আমাকে এবং আমার স্বামীকে ফোনে টাকা দেয়ার কথা বলে বান্দরবান যেতে অনুরোধ করেন। আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি হিসেবে তাদের কথার উপর অন্ধ বিশ্বাস করে বান্দরবান যান। আনুমানিক সন্ধ্যার দিকে বান্দরবান শহরে আল-ওয়াফদা ব্রীজ সংলগ্ন হোটেল হিল নাইট হেভেনের সামনে পৌঁছলে মোঃ রুবেলের সাথে দেখা হয়। এসময় রুবেল ১ লাখ টাকা আছে বলে আমার স্বামীর হাতে একটি প্যাকেট তুলে দেয়। প্যাকেটটি আমার স্বামী গ্রহণ করে খুলে দেখার আগেই উৎপেতে থাকা ৪ জন সিভিল পোষাক ও নিরস্ত্র ব্যক্তি এসে টাকার প্যাকেট দেখতে চ্যালেঞ্জ করে এবং টানাহেঁচড়া করে। এক পর্যায়ে আমার স্বামী সন্ত্রাসী মনে করে হাতাহাতি করেন। মুহুর্তের মধ্যে আরও কয়েকজন অস্ত্রধারী সিভিল পোষাকে নিজেদেরকে ডিবি পরিচয় দিলে আমার স্বামী সম্মানের সহিত তাদের কাছে আত্মসমর্পন করেন। পরে আমার স্বামীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং কর্মচারী রুবেলের দেয়া টাকা ভর্তি সেই প্যাকেট থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা পেয়েছে বলে প্রকাশ করে। এভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সাজানো নাটকে ৪০০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারের ব্যাপক সম্মানহানি করেছে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এই ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো নাটকে গ্রেফতারকৃত আমার স্বামী দিদার মিয়া কুংফু’র বিষয়টির সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্তপূর্বক মূল রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত শাস্তি কামনা করছি এবং আমার স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি’। ##