টেকনাফ নিউজ ডেস্ক : ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য সবাইকে ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সবাই উত্সবমুখর পরিবেশে ধর্মীয় উত্সব উদযাপন করতে পারছেন। পূজা ঠিকভাবে হয়েছে। ঈদও ঠিকভাবে করতে পেরেছি। আগামীতে বৌদ্ধ পূর্ণিমাও শান্তিপূর্ণভাবে হবে।
গত শনিবার ঈদের দিন সকালে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই ঈদে আমাদের মনে রাখতে হবে কে কতটা আত্মত্যাগ স্বীকার করতে পারি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ ঈদে গ্রামের বাড়িতে গেছেন তারা যেন ঠিকভাবে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামীতে আরও ভালো হবে।
সরকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করায় কোরবানির গরুর দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল দাবি করে তিনি বলেন, ঢাকায় কয়েক লাখ গরু আর খাসি এসেছে। যে যার মতো কিনেছে। এবার অনলাইনেও কেনাবেচা হয়েছে।
ঈদের দিন সকাল সাড়ে নয়টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী সব স্তরের জনগণ এবং সকাল ১১টার পর ঢাকায় বিদেশি মিশনের কূটনীতিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দুই যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহাবুব-উল আলম হানিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে সবাইকে গণভবণে মিষ্টিমুখ করানো হয়। অনেকেই ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর হাতে সাহায্যের জন্য আবেদনপত্র তুলে দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তার সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষে দারিদ্র্যমুক্ত করাসহ তাদের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এরই মধ্যে নিম্ন আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে পৌঁছে গেছে। ৬৭ লাখ মানুষ চাকরি পেয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত হবে।
Leave a Reply