মোজাম্মেল হক বাহার, শামলাপুর…সম্প্রতি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেকনাফ বাহারছড়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মালেশিয়া যাওয়ার তৎপরতা। পাচার কার্যের এয়ারফোর্ট নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে উক্ত বাহারছড়া। গত ৩০ অক্টোবরও শামলাপুর থেকে ২০০ যাত্রী নিয়ে মালেশিয়ার পথে পাড়ি দেয় একটি পুরাতন কার্গো এবং আরেকটি যাওয়াে প্রস্তুতি চলছে। পাচারকারীদের লোভনীয় আশ্বাস; ৫০০০টাকা দিলেও মালেশিয়া পৌঁছা সম্ভব, এ অল্প টাকার বিনিময়ে দীর্ঘ দিনের লালায়িত স্বপ্ন পূর্ণ করতে মরিয়া হয়ে উঠছে এলাকার সুবিধা বঞ্চিত জনগণ। কিন্তু তাদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন সমুদ্রের পানির সাথে মিশে বিলিন হয়ে যাচ্ছে, আবার সেখান থেকে আর কিছু যাত্রীদের গভীর রাত্রে দেশের কোন ঘাটে নিয়ে গিয়ে বলে; এটা মালেশিয়ার ঘাট। পাচারকারীদের এরকম মরণঘাতী ও অশালীন আচরণে সমুদ্র গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে অহরহ তাজা প্রাণ। তেমনি টেকনাফ শামলাপুরের একটি পাচারকারী সিন্ডিকেটের কিং, স্থানীয় শামলাপুর নতুনপাড়ার আমির হোসাইন (প্রকাশ আঁইছন) এর পুত্র মোঃ হাসান এবং তার সহযোগি শামলাপুর নার্সারীপাড়ার রোহিঙ্গা আব্দুচ্ছালাম ও মোঃ নুরু। তাদের আন্ডারে শামলাপুর থেকে শতাধিক যাত্রী মালেশিয়ার উদ্যেশ্যে পাড়ি দিলেও এক মাস যাবৎ কোন খোঁজ খবর নেই। শামলাপুরের নৌকার মালিকদের মধ্য থেকে মোঃ মনজুর আলম, হাবিব নূর সহ আরো কয়েকজন নালিশ দেন যে, তাদের নৌকারও অগ্রীম টাকা নেওয়া ৪ জন মাঝি-মাল্লাদের উল্লেখিত পাচারকারী সিন্ডিকেটেরা মালেশিয়া নেয়ার জন্য গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু নৌকার মাঝি মাল্লাদের কাছ থেকে জানা যায় মাঝ দরিয়ায় কয়েকটি বোট যাত্রী সহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে, তাদের ধারণা সেগুলো মালেশিয়াগামী বোট। এরকম পাচারকারীদের লোভনীয় ফাঁদে পড়ে এলাকার নৌকার মালিকদের কাছ থেকে সারা বছর নৌকায় মাছ মারবে বলে মাঝি মাল্লারা ২০/৩০ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে চোরাই পথে মালেশিয়া যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে চরম বিপাকে পড়ছে নৌকার মালিক মহল। শামলাপুর নৌকা সমিতির সভাপতি মমতাজুল ইসলাম ও নৌকার মালিক মহল প্রশাসনের প্রশাসনের নিকট পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জনায়। এ পাচারকারীদের ব্যাপারে শামলাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোনাফকে অবহিত করলে তিনি অতিসত্বর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।
Leave a Reply