বাংলাটাইমস : শুনে হয়তো কেউ বিশ্বাস করতে চাইবেননা। বলিভিয়াতে আছে স্রেফ লবণ দিয়ে বানানো আজব একটি হোটেল। এর আসবাবপত্র থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুই তৈরি লবণ দিয়ে। ঘুমানোর বিছানাও তৈরি লবণ দিয়ে। কি আজব তাই না! প্রথম দেখে এটি হোটেল মনে করতে কষ্ট হতে পারে। এর নাম ‘হোটেল ডে সাল’। এ হোটেলটি সমুদ্রসীমা থেকে ৩ হাজার ৬৫০ মিটার উপরে। বলিভিয়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যে ’সালার ডি ইয়ুনি’ তে অবস্থিত ‘হোটেল ডে সালে’ রাত কাটাতে আসেননা এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
অবাক হওয়ার কিছু নেই ‘সালার ডি ইয়ুনি’ আসলে লবণের মরুভূমি। পুরো এলাকার কয়েক ফুট লবণ স্তর একেবারেই সমতল। ১০ হাজার ৫৮২ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বিশাল এই এলাকায় আছে লবণের চাঁই। এমনকি আছে লবণের হ্রদও। যেখানে আছে প্রচুর লিথিয়াম। এখানে লিথিয়ামের প্রাচুর্যতার কথা জানা গেছে মাত্র বছর পাঁচেক আগে। বিশ্বের মোট সরবরাহের প্রায় অর্ধেক লিথিয়াম এখানেই রয়েছে। বিশাল এই এলাকায় এলে থমকে দাঁড়ান যেকোনো মানুষ। মুগ্ধ হয়ে দেখেন চারপাশের লবণের সম্রাজ্য- অনেক দূরে তাকিয়েও আকাশ কোথায় গিয়ে মিশেছে বুঝে উঠতে পারেন না। এমন আজব জায়গাতেই গড়ে উঠেছে স্রেফ লবণের হোটেলটি। যার দেয়ালগুলো বানানো হয়েছে লবণ আর পানির ব্লক দিয়ে। ১৫টি বেডরুম আছে এখানে। ইয়ুনি সল্ট লেকের তীরে ‘হোটেল ডে সাল’ বানানো হয়েছে পুরোপুরি লবণের ব্লক দিয়ে। হোটেলটিতে আছে স্টাইলরুম, রেস্তোরাঁ, বার, কনফারেন্স রুম, চিত্রকলা ও হস্তশিল্প কেন্দ্র এবং খেলাধুলার কক্ষ।
হোটেল ডে সালে একজনের প্রতি রাতের ভাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা। দুইজনের খরচ প্রায় সাড়ে আট হাজার। এই টাকার বিনিময়ে আপনি পাবেন রাতের খাবার, পরদিনের সকালের নাশতাও। আর হ্যাঁ, হোটেলের আরামদায়ক বিছানাটাও কিন্তু লবণের তৈরি!
অনেকে এ হোটেলে এসে বেশির ভাগ আসবাবপত্র লবণের তৈরি, বিশ্বাস করতে পারেন না। তাই কেউ কেউ অতি আগ্রহী হয়ে আসবাবপত্রে মুখ লাগিয়ে চেটে দেখেন ঘটনা সত্যি কিনা।
Nic