রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্ব সম্মেলন ডাকার আহবান জানিয়েছেন ঢাকার বিশেষজ্ঞরা।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বহুল আলোচিত এই সংকট নিরসনে এক জাতীয় কর্মশালায় এই বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজনে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন বক্তারা।
সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা তোমাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তোমরা আসো, আমরা তোমাদেরকে নিজেদের খরচে নিয়ে যাবো নয়াপড়া, কুতুবপালং, একেবারে রোহিঙ্গারা যেখানে বসবাস করছে।’
এদিকে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন আবারো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক কমকর্তারা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় অন্তত আশি হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সরে যায়। এদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসলে তাদের খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়ে। গত ছয় মাস ধরে এখনো অনেক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
মিয়ানমারকে না দুষে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা, তারই জবাব দিতে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’ মিলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে দাঙ্গায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় দিলে এ সংকট আরো বাড়তো বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে এছাড়া রোহিঙ্গাদের অনেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে পড়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মিয়নমার সরকারই তাদের নাগরিকদের উপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, অতএব সেদেশের সরকারের উপরই চাপ সৃষ্টি করা উচিত বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের একমত হওয়ারও আবেদন জানান তারা।
মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের বিষয়ে না ভাবলে, কিংবা উন্নত কোনো দেশ এর উত্তরণে এগিয়ে না আসলে এ সংকট সহসাই কাটছে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে আগত দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply