টেকনাফ নিউজ ডেস্ক… রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের চারজন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি) কক্সবাজার সফরে আসছেন। বুধবার বিকালে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ও টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তারা।
কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ জালাল উদ্দিন আহমদ তাদের সফর নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ব্যুরোর মুখ্য উপসহকারী মন্ত্রী জোসেফ উন, জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী কেলি ক্লিমেন্টস, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী আলিসা আয়ার্স এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরার উপসহকারী মন্ত্রী ডেনিয়েল বায়ের মঙ্গলবার ঢাকায় এসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বৈঠক করবেন।
প্রতিবেশী মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে না দেয়ায় সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন করে শরণার্থী নেয়া আর সম্ভব নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ। বরং বাংলাদেশে যে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে তাদের প্রত্যাবাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ঢাকা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বাংলাদেশ সরকারের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের এখনই ফেরত না পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের মিশনের পক্ষ থেকে এ দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো ছাড়া বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা-সংশি¬ষ্ট যে তিনটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা পুনর্বিবেচনার কথা জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাংলাদেশ তার অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানানোর পাশাপাশি এর পক্ষে যুক্তিগুলো তুলে ধরে বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মিশনের সদস্যরা মঙ্গলবার ঢাকায় পররাষ্ট্র ও সংশি¬ষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে কক্সবাজার সফরে যাবেন। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকে নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন তারা।
রোহিঙ্গাদের উসকে দেয়া এবং অনুমতি ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকার দুই মাস আগে ডক্টরস উইদাউট বর্ডার, মুসলিম এইড, অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার নামে তিনটি এনজিওকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এরপর জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর), যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ সরকারকে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়।
এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরতের দাবি জানিয়ে এ সফরের সময় উখিয়া-টেকনাফে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগ্রাম কমিটির নেতা হামিদুল হক চৌধুরী।
Leave a Reply