আবদুর রহিম সেলিম…উখিয়া পূর্ব সিকদারবিল গ্রামে এক রোহিঙ্গা পরিবারের অত্যাচার নির্যাতন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে দিন মজুর হোটেল শ্রমিক শাহ আলমের পরিবার। হোটেল শ্রমিক শাহ আলমের সামান্য বসত ভিটা টুকু কেড়ে নিতে ওই রোহিঙ্গা পরিবারটি অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ইতিপূর্বে কয়েক দফা বিচার শালিস হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার পূর্ব সিকদার বিল গ্রামের নজু মিয়ার পুত্র হোটেল শ্রমিক শাহ আলম তার পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজ বসত ভিটায় বসবাস করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে মিয়ানমার থেকে পাঁিড় দিয়ে মোহাম্মদ হোছনের পুত্র বেলাল, কামাল, ইলিয়াছ ও ছেনুয়ারা পূর্ব সিকদারবিল এলাকায় জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি এলাকায় জায়গা-জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ওই রোহিঙ্গারা শাহ আলমের বসত ভিটা কেড়ে নিতে শাহ আলম ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে কয়েক দফা মারধর করে। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তি ও ইউপি মেম্বারের নিকট বিচার সালিশ করা হয়। উক্ত সালিশে শাহ আলমের পরিবারকে কোন ধরনের হয়রানী কিংবা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করতে পারবে বলে রায় দেন। ইত্যবশরে সু-চতুর রোহিঙ্গারা ইউপি মেম্বারের নিকট বিচারাধীন ঘটনা শেষ হতে না হতেই শাহ আলমকে জড়িয়ে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়। এদিকে শাহ আলম বাদী হয়ে রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এলাকারবাসী আলী আকবর, জহির আলম, নুরুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা পরিবারের বেলালের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে শাহ আলমের বাড়ীতে রাতে ঢিল ছুঁেড় ও অশালীন ভাষায় গালি-গালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখে। তাছাড়া গত ২৬ আগষ্ট রোহিঙ্গা বেলালের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শাহ আলমকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এ ঘটনা নিয়ে বিচার সালিশ হলেও তাদের অপতৎপরতা থেমে নেই বলে একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন। গত ১ সেপ্টম্বর শাহ আলমের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী জাহানারাকে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত জখম করে। শুধু তাই নয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আবারো শাহ আলমের পরিবারের উপর সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা বেলাল হামলা চালায়। সর্বশেষ গত বুধবার বিকাল ৪টায় বাড়ীর সীমানায় প্রবেশ করে রোহিঙ্গারা ঘেরা-টেংরা ভাংচুর চালায়। এতে শাহ আলমের পরিবার অসহায় হয়ে রোহিঙ্গাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বর্তমান শাহ আলম ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসন ও সমাজের মান্যগন্য-ব্যক্তিদের ধারে ধারে ঘুরছে। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহার সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি আমলে নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
Leave a Reply