কক্সবাজারের রামুতে সহিংস ঘটনার ইন্দনদাতা হিসেবে আলোচিত রামু থানার সেই ওসি নজিবুল ইসলামকে চকরিয়া থেকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আটক করে হেফাজতে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ২ অক্টোবর রামু থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে আনা হয়েছিল। রামু ঘটনার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে কক্সবাজার ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি গোয়েন্দা নজর এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে ট্যাগ/শেয়ার করা একটি ছবির কারণে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগ এনে রামুতে ১১টি বৌদ্ধমন্দির, ৩০টি বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি ও দোকান ঘরে। এ ঘটনার জন্য শুরু থেকে পুলিশের অবহেলাকে দায়ী করা হয়। স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার জন্য পুলিশের অবহেলাকে দায়ী করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর রামুর ওসি নজিবুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার দুপুরে ওসি নজিবুল ইসলাম পুলিশ লাইন থেকে গোয়েন্দা নজর এড়িয়ে কক্সবাজার থেকে গোপনে চট্টগ্রাম যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি ঘন ঘন গাড়ি পরিবর্তন করছিলেন। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে চকরিয়া থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা হেফাজতে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশের ডিআইজি মো. নওশের আলী জানান, ওসি নজিবুল ইসলাম গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন কিনা তা তিনি জানেননা। রামু ঘটনার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে কক্সবাজার ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
Leave a Reply