আনছার হোসেন কক্সবাজার….কক্সবাজারের রামু সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ বসতিতে সহিংসতায় সরকার ও সরকারের মন্ত্রীরা বিএনপি ও জামায়াত এবং ‘ধর্মান্ধ’ মৌলবাদীদের দায়ী করার চেষ্টা করলেও রামুর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। তারা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার অপচেষ্টায় হতাশ হয়েছেন। রামুর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতারা বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকেই দায়ী করার সুযোগ নেই, ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট থেকেই এটা হয়েছে।’
গতকাল দুপুরে রামুর পুড়ে যাওয়া ৩৫০ বছরের পুরনো ‘কেন্দ্রীয় সীমা বিহার’ প্রাঙ্গণে এই প্রতিবেদকের কাছে এমন মন্তব্যই করেছেন রামু বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি কিশোর বড়ুয়া ও সীমা বিহারের তরুণ পুরোহিত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু।
বুড্ডিস্ট ফেডারেশন সভাপতি ও কাউয়ারখোপ হাকিম-রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর বড়ুয়া বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করছি না। আমরা কোনো মামলাও করিনি। আমরা কেবল দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ তিনি মনে করেন, ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্যই এটা করা হয়েছে।
এই স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘আমরা আগেও দেখেছি, রাজনৈতিক টানাটানির কারণে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। আমাদের পরিস্থিতিও এমন হোক আমরা চাই না।’ তিনি বিচ্ছিন্নভাবে এখনও হুমকি-ধমকি পাওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন।
কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের পুরোহিত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, ‘রামুর এ ঘটনার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে দায়ী করা যাবে না। ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট থেকেই কিশোর যুবকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যেদিন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার পরদিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ‘মধুদান’ কর্মসূচি ছিল। আমরা তারই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই ফাঁকেই হঠাত্ এই হামলা হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, রামু সীমা বিহারে হামলাকারীরা প্রথমে লুটপাট চালায়, পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ‘মধুদান’ কর্মসূচির জন্য আনা বিভিন্ন পণ্য সকালে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তার দাবি, এই বিহারে ৪ শতাধিক ছোট-বড় বুদ্ধ মূর্তি ছিল। সহিংসতার পর মাত্র ৫০টির মতো ক্ষতিগ্রস্ত বুদ্ধ মূর্তি পাওয়া গেছে। তরুণ এই ভিক্ষু জানান, কোনো কোনো মুসলমান ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
dosidar bechar hota hova.